নেইমারের সঙ্গে খেলে রাফিনহার স্বপ্নপূরণ

বছর দুই আগে এক সাক্ষাৎকারে নেইমারের সঙ্গে খেলার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন রাফিনহা। তখন রেনের হয়ে নিজেকে সবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরপর লিড ইউনাইটেডের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন রাফিনহা। খেলেন নেইমারের সঙ্গে। তাতেই স্বপ্নপূরণ হয় ২৪ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডারের।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় সাধারণত বেশির ভাগ তারকা খেলোয়াড়দের উত্থানটা হয় যুব দল থেকেই। সেখানেই সম্পূর্ণ ভিন্ন রাফিনহা। বয়ঃভিত্তিক দলে কখনো সুযোগই মিলেনি তার। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। নিজের জাত চিনিয়ে রীতিমতো তারকা বনে গেছেন। তাতে বেজায় খুশি এ ব্রাজিলিয়ান। তবে নেইমারের সঙ্গে খেলতে পারায় খুশির পরিমাণটা বেড়েছে তার।
এদিন উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করতে পারেননি রাফিনহা। নেইমারের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে বলেন, 'নেইমারের সঙ্গে খেলা খুব সহজ। আমি তার অনেক বড় ভক্ত। আমি তার দ্বারা খুবই অনুপ্রাণিত হই। তার খেলার ধরণ এবং সে যেভাবে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে। আমি তার অনেক ভিডিও দেখি। তার সাথে খেলে একটি স্বপ্ন সত্যি হলো।'
ল্যাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের অ্যারেনা দা আমাজনিয়ায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে উরুগুয়েকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এ জয়ের মূল নায়ক রাফিনহা। জোড়া গোল করেছেন। ম্যাচে সুযোগ তৈরি করেছিলেন আরও। উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফের্নান্দো মুসলেরা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে তার অবদানের তালিকাটা আরও বড় হতে পারতো।
অবশ্য ব্রাজিলের জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রাফিনহা। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধে নেমে পার্থক্যটা গড়ে দেন তিনিই। দুটি গোল তৈরি করে দেন। অপর গোলেও রাখেন অবদান। তাতে উল্টো ৩-১ গোলের জয় পেয়েছিল সেলেসাওরা। নেইমারের সঙ্গেও আগের ম্যাচে খেলেছেন কলোম্বিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু সেদিন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবে গোলশূন্য ড্র করে দলটি।
এমন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ব্রাজিলের হয়ে বারবার খেলতে চান রাফিনহা, 'এই রাত পার করা কঠিন হয়ে যাবে, এই রাতটি ভুলে যাওয়াও কঠিন হবে, এটা কখনোই শেষ হবে না। আমি এখানে ফিরে আসব, দেখবা কি কারণে আমি এখানে এসেছি, লিডসে ভালো কাজ করেছি। অন্য সময় ফিরে আসার জন্য আমি আমার কাজ ভালোভাবে করে যাব।'
শুধু যে নিজের স্বপ্নপূরণ হয়েছে তা নয়, নিজের সন্তানদের স্বপ্নও পূরণ করতে পারায় আরও বেশি খুশি এ ব্রাজিলিয়ান, 'যে পরিমাণ খুশি হয়েছি, আমার মনে হয় না তা ব্যাখ্যা করার কোন উপায় আছে। জয়ের সঙ্গে গোল এবং এই ম্যাচটি আমার জন্য এর চেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারতো না। আমি আমার সন্তানদের স্বপ্নকে সত্য করে তুলেছি। শুধু জাতীয় দলের জার্সি পরার জন্য নয়, জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যও। ১৯ নম্বর জার্সিতে উদযাপনের জন্য গোল করে সাহায্য করতে পারা খুবই আনন্দদায়ক।'
Comments