পর্তুগালকে বিশ্বকাপের টিকিট কেটে দিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ

ইতালিকে বিদায় করে চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্লে অফের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল উত্তর মেসিডোনিয়া। আরও একটি রূপকথার গল্প লিখতে এদিন মাঠে নেমেছিল দলটি। তবে তেমন কোনো অঘটন ঘটতে দেননি ব্রুনো ফার্নান্দেজ। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে সব শঙ্কা কাটিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট কেটেছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
বুধবার ইতালির স্তাদিও রেঞ্জো বারবেরায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে অফ ম্যাচের ফাইনালে উত্তর মেসিডোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। ম্যাচের দুটি গোলই এসেছে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পা থেকে।
এর আগের ম্যাচে যে ভুল করেছিলেন দোমিনিকো বেরার্দি, এদিন সে ভুল করেননি ব্রুনো। বেরার্দিকে সেদিন একেবারে ফাঁকায় বল তুলে দিয়েছিলেন উত্তর মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক স্তোল দিমিত্রিভস্কি। কিন্তু খালি পোস্টে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এ ইতালিয়ান। এদিন প্রায় একই ধরণের সুযোগ ব্রুনোকে দিলেন মেসিডোনিয়ার অধিনায়ক স্তিফেন রিস্তভস্কি। তবে বেরার্দির মতো কোনো ভুল হয়নি এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার। পরে দিয়েছেন আরও একটি গোল। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় পর্তুগালের।
এর আগে ইতালির বিদায়ে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের রং। মোহামেদ সালাহর বিদায়ে বিশ্বকাপের রং যেন আরও হারায়। ইতালি-পর্তুগাল একই পথে থাকায় শঙ্কা ছিল রোনালদোকে নিয়েও। তবে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ীকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখলেন ব্রুনো।
ইতালি প্রায় এক তরফা খেলেও যা করতে পারেনি, তা সহজেই করেছে পর্তুগাল। তবে সে কাজে বড় সহায়তা করেছেন মেসিডোনিয়ার অধিনায়ক রিস্তভস্কি। নিজেদের অর্ধে সতীর্থকে ব্যাক পাস করতে গিয়ে ফাঁকায় থাকা ব্রুনোর পায়ে তুলে দেন বল। এরপর রোনালদোর সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। ফলে প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল হজম করে মেসিডোনিয়া। তাতেই তাদের স্বপ্নযাত্রার অবসান নিশ্চিত হয়ে যায়। গোল খেয়ে তা শোধ করতে মরিয়া হয়ে অলআউট খেলতে গিয়ে গোল হজম করে দলটি। এবার কাউন্টার অ্যাটাকে গোল আদায় করে নেন ব্রুনো। ৬৫তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে মেসিডোনিয়ার এনিস বার্দি বল হারালে দিয়াগো জোতাকে থ্রু পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকেন ব্রুনো। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস দেন জোতা। বল পেয়ে আলতো টোকায় জালে পাঠান এ ইউনাইটেড তারকা।
এদিন ৬৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১১টি শট নেয়। যার ৩টি থাকে লক্ষ্যে। অথচ এর আগে ৩২টি শট নিয়ে এই মেসিডোনিয়ার রক্ষণ দুর্গ ভাঙতে পারেনি ইতালি। পারেনি প্রতিপক্ষের ভুলেও সুযোগ নিতেও।
বিস্তারিত আসছে...
Comments