পিএসজির জন্য মরতেও রাজী: রামোস

এক মৌসুম আগেও প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। রিয়াল মাদ্রিদের জন্য তখন জীবন রাজী রাখতেও মরিয়া ছিলেন সের্জিও রামোস। দলটির নেতৃত্বেও ছিলেন দীর্ঘদিন। সেই রামোস এখন রিয়ালের প্রতিপক্ষ দলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। এমনই এক অদ্ভুত পরিস্থিতির উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

অবশ্য চলতি মৌসুমটাই বেশ অদ্ভুতুড়ে। তার মতো বার্সেলোনার ঘরের ছেলে লিওনেল মেসিও দল ছেড়েছেন। দুই চিরশত্রু এখন একে অপরের সতীর্থ। আর কদিন আগে এই মেসির হাতে ব্যালন ডি'অর দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তিনি।

আগের রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র হওয়ার পর থেকেই আলোচনাটা চাউর। রিয়ালের বিপক্ষে কেমন অনুভূতি হবে রামোসের? বিশেষ করে প্রিয় ক্লাবের বিপক্ষে নিজের শতভাগ দিয়ে খেলতে পারবেন? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল পাড়ায়।

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে রামোস জানালেন নিজের অনুভূতির কথা, 'আপনি জানেন যে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি আমার কতোটা আবেগ ও ভালোবাসা রয়েছে। এখন আমার পিএসজিকে রক্ষা করার পালা এবং আমি এটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এই দলই আমার উপর বাজি ধরেছে। আমি পিএসজির জন্য মরতেও রাজী।'

তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে অন্য কাউকে পেলে বেশি খুশি হতেন রামোস, 'আমি যখন প্লেনে চাপলাম, তখন শুনলাম আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেয়েছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের আমি বেশ পছন্দ করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখা গেল তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদকে না পেলেই খুশি হতাম।'

কদিন আগেও রিয়ালের ঘরের ছেলে হিসেবেই বিবেচিত হতেন রামোস। যদিও সেই ঘর থেকে বিদায়টা সুখকর হয়নি। রীতিমতো তাকে বিদায় করে দিয়েছেন রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। রামোস বেতন ভাতা কমাতে বলেছিলেন তিনি। শুরুতে রাজী না হলেও পরে যখন রাজী হন তখন সময় শেষ বলে দরজা দেখিয়ে দেন রিয়াল প্রেসিডেন্ট।

তখন সমর্থকদের সামনে ভালোভাবে বিদায় না পারার আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চান সাবেক রিয়াল এবার অধিনায়ক, 'সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফেরার ব্যাপারটা আনন্দ দিচ্ছে। কারণ, আমি কোভিডের কারণে ঠিকভাবে বিদায় নিতে পারিনি। ভাগ্য অনেক অনিশ্চিতভাবে কাজ করে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pakistan minister denies nuclear body meeting after offensive launched on India

"No meeting has happened of the National Command Authority, nor is any such meeting scheduled," he told ARY TV.

6m ago