পিএসজির জয়ে নেইমার-ইকার্দির গোল

অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে আগের দিন লিগা ওয়ানের ম্যাচে প্রথমবারের শুরু একাদশে ছিলেন লিওনেল মেসি। তবে এখনও নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেদের বিপক্ষে রসায়নটা সেই অর্থে জমে ওঠেনি। ফলে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি এ আর্জেন্টাইন। তবে সে ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন আরেক আর্জেন্টাইন মাউরো ইকার্দি। নেইমারের সমতাসূচক গোলের পর তার শেষ মুহূর্তের গোলেই জয় পায় পিএসজি।

পার্ক দি প্রিন্সেসে রোববার রাতে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি।

ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগের দিন মাঠে নেমেছিল পিএসজি। কিন্তু তাদের সঙ্গে সমান তালেই লড়াই করেছে লিঁও। বলের দখল কিছুটা বেশি ছিল পিএসজির। ৫৪ শতাংশ। পিএসজির চেয়ে মাত্র দুটি শট কম নিতে পারে তারা। ১২টি শট নেয় দলটি। পিএসজি নেয় ১৪টি শট। অবশ্য দুই দলই সমান ৫টি করে শট লক্ষ্যে রাখে।

তবে শুরুর দিকে গোল করার মতো ভালো আক্রমণগুলো আসে পিএসজির কাছ থেকেই। অনেকটা ধারার বিপরীতেই এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। দি মারিয়ার ক্রস থেকে ডি-বক্সে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। হেড না নিয়ে বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণ নিতে দেরি করে ফেলায় নষ্ট হয় সে সুযোগ। 

১৭তম মিনিটে এমবাপের ব্যাকহিল থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে শটে জোর না থাকায় ধরতে সমস্যা হয়নি লিঁও গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজের। পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করার দারুণ সুযোগ ছিল লিঁওরও। শাকিরির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা।

৩২তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন মেসি। একক দক্ষতায় তিন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে মেসিকে দারুণ এক ব্যাকহিল করে পাস দিয়েছিলেন নেইমার। তবে মেসির শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বেরিয়ে গেলে নষ্ট হয় সে সুযোগ।

৩৭তম মিনিটে আবারও হতাশ হয় স্বাগতিকরা। এবার মেসির নেওয়া ফ্রি কিক বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল দলটির। মেসির বাড়ানো বল থেকে এমবাপের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৫৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিঁও। কার্ল একাম্বির থ্রু বল থেকে প্রথম বার ঘেঁষে নেওয়া দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা লুকাস পাকুয়েতা। ১০ মিনিট পরই সমতায় ফেরে পিএসজি। সফল স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার। তাকে ডি-বক্সের মধ্যে মালো গুস্তো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

৭১তম মিনিটে ব্রুনো গুমারেসের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর নেইমারের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। এর দুই মিনিট পরই মেসিকে বদলে আশরাফ হাকিমিকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।

৮৮তম মিনিটে কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় ভালো সুযোগ হয়েছিল পিএসজির। কিন্তু লাভ হয়নি। পাল্টা আক্রমণ থেকে সুযোগ ছিল লিঁওরও। রায়ান চারকির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডান প্রান্ত থেকে এমবাপের ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি খেলোয়াড় মাউরো ইকার্দি। ফলে স্বস্তির জয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।

Comments