পিএসজির জয়ে রামোসের গোল

করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে পারেননি। বদলি নেমেছেন দ্বিতীয়ার্ধে। তাতে কোনো সমস্যাই হয়নি পিএসজির। দলগত নৈপুণ্যে বড় জয়ই পেয়েছে দলটি। আর পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন সের্জিও রামোস।
পার্ক দি প্রিন্সেসে রোববার রাতে রাঁসের বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজির। রামোস ছাড়া দলের হয়ে গোল পেয়েছেন মার্কো ভেরাত্তি ও দানিলো পেরেইরা। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে।
এদিন মাঝমাঠের দখল রেখেই খেলতে থাকে পিএসজি। ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নেয় ২২টি, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে সাত শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে রাঁস।
২২ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে শীর্ষে থাকা পিএসজির সংগ্রহ ৫৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নিস। ১৪ নম্বরে থাকা রাঁসের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট।
ঘরের মাঠে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে থাকে পিএসজি। বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেয়েও গোল আদায় করতে না পাড়া দলটির গোল পেতে অপেক্ষা করতে প্রথমার্ধের প্রায় শেষ পর্যন্ত। ৪৪তম মিনিটে ভেরাত্তির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। ডি-বক্সে মাউরো ইকার্দির শট এক ডিফেন্ডার ফেরালে ফাঁকায় পেয়ে যান এ ইতালিয়ান মিডফিল্ডার। জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৬২তম মিনিটে পিএসজি ক্যারিয়ারের প্রথম গোল দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রামোস। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারলে ফাঁকায় পেয়ে যান রামোস। তার প্রথম গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এ সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের।
পরের মিনিটেই আনহেল দি মারিয়ার জায়গায় মেসিকে নামান পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। এক মাসেরও বেশি সময় পর ফের মাঠে নামেন এ তারকা। চার মিনিট পর পাওয়া আত্মঘাতী গোলে অবদান রয়েছে তার। তার পাস থেকে বল পেয়ে ভেরাত্তির নেওয়া শট প্রতিপক্ষের ফায়েসের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
৭৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান দানিলো। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে নেওয়া তার জড়াল শট প্রতিপক্ষের একজনের গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করে। শেষ দিকে অবশ্য বল জালে পাঠিয়েছিলেন ইকার্দি। কিন্তু এর আগে বল হাতে লাগায় গোল মেলেনি।
Comments