'ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর ধারণা নেশন্স লিগ'

আন্তর্জাতিক বিরতিতে প্রতিযোগিতামূলক কোনো টুর্নামেন্ট না থাকলে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে থাকে ফুটবল বিশ্বের প্রায় সব দলগুলোই। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ কিছুটা কম থাকে। ইউরোপে দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ আনতে এই প্রীতি ম্যাচগুলো নিয়ে একটি লিগের আয়োজন করে উয়েফা। যা ফুটবলের বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর ধারণা বলে মনে করেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
আলোচনার সূচনাটা হয় মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিয়ে। এবারের আসরের ফাইনালে খেলবে ক্লপের দল লিভারপুল। প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ফাইনালে ২০ হাজার টিকিট পেয়েছে অলরেডরা। সমান ২০ হাজার পেয়েছে রিয়ালও। তবে স্তাদে দি ফ্রান্সের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৮১ হাজার। তাই নিজেদের জন্য আরও বেশি টিকিট চেয়ে উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিনের সঙ্গে কথা বলেন ক্লপ। সেখানে উঠে আসে নেশন্স লিগের প্রসঙ্গও।
তবে খেলোয়াড়দের ঠাসা সূচির মধ্যে উয়েফার এ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচনা। নতুন করে তাতে যোগ দিলেন লিভারপুল কোচও। নেশন্স লিগ নিয়ে কথা বললে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন না বলেই জানান ক্লপ, 'নেশন্স লিগ নিয়ে উয়েফার সম্পর্কে যখন কথা বলি তখন আমি এতটা ভালো মেজাজে থাকতে পারি না। আমি এখনও মনে করি এটা ফুটবলের বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর ধারণাগুলির মধ্যে একটি।'
আর কেন পারেন না তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এ জার্মান কোচ, 'কারণ এখন আমরা এমন একটি মৌসুম শেষ করি যেখানে (কিছু) খেলোয়াড় ৭০টিরও বেশি ম্যাচ খেলে। ক্লাবের হয়ে ৬৩ কিংবা ৬৪টি, সঙ্গে আন্তর্জাতিক মিলিয়ে প্রায় ৭৫টি। যা এক প্রকার পাগলামি। আমরা নেশন্স লিগের ম্যাচগুলো চালাতে পারি যখন অন্য কোনো টুর্নামেন্ট থাকবে না। জাতীয় দলের সঙ্গে চার, পাঁচ বা ছয়টি ম্যাচ খেলা নিয়ে কে চিন্তা করে। এর পরিবর্তে আমি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আরও বেশি টাকা দেওয়া পছন্দ করব এবং নেশন্স লিগ বাতিল করে দিব। এটা আমার পছন্দের সমাধান।'
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ শেষে প্রথমবার এই নেশন্স লিগের আয়োজন করে উয়েফা। প্রতি মৌসুমেই একবার করে এ লিগ আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও শেষ চার বছরে এখন পর্যন্ত দুইবার করতে পেরেছে তারা। মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে নিয়মিত আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালের প্রথম আসরে শিরোপা জিতে নেয় পর্তুগাল। আর সবশেষ গত বছর চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।
Comments