ফ্রান্সকে বাঁচালেন এমবাপে

ছবি: রয়টার্স

প্রধামার্ধের পাওয়া গোল ধরে রেখে দারুণ এক জয়ের দিকেই এগুচ্ছিল অস্ট্রিয়া। ক্রোয়েশিয়ার পর ফ্রান্সকেও ধরাশায়ী করতে যাচ্ছিল তারা। শেষ সময়ে গিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রক্ষা করলেন কিলিয়ান এমবাপে।

ভিয়েনায় শুক্রবার রাতে নেশন্স লিগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। ৩৭ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নিয়েছিলেন আন্দ্রেয়াস ভাইমান। বদলি নেমে ৮৩ মিনিটে ফরাসীদের ত্রাতা এমবাপে।

এদিন খেলার ফল দিচ্ছে না ম্যাচে ফ্রান্সের দাপটের ছবি। প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে ছিল দিদিয়ের দেশমের দলের। গোল পেতে ১৫ শট মেরে ৭টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। গোল পায় কেবল একটি।

অস্ট্রিয়ার কৌশল ছিল রক্ষণ শক্ত করে প্রতি আক্রমণে যাওয়া। সেই কাজে অনেকটা সফলই ছিল তারা। পুরো ম্যাচে গোলে নেওয়া ৪ শটের তিনটা ছিল লক্ষ্যে। যার একটি থেকে আসে গোলও।

খেলার শুরু থেকেই ফ্রান্সের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত ছিল অস্ট্রিয়া। গোলরক্ষক পাত্রিক পেনৎস ছিলেন দারুণ। রক্ষণ সামলে মাঝে মাঝে আক্রমণে যাচ্ছিল তারা। এভাবে খেলার ধারার বিপরীতে ৩৭ মিনিটে গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

প্রতি আক্রমণে গিয়ে কনরাড লাইমারের পাস থেকে বল পেয়ে ফরাসিদের জালে জড়িয়ে দেন ভাইমান। পিছিয়ে পড়ে হতচকিত ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়ে চেষ্টা চালায়।

বিরতির পরও অনেকগুলো আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ায় বাড়ছিল হতাশা। শেষ পর্যন্ত ৬৩ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানকে তুলে এমবাপেকে নামান দেশম। আক্রমণের গতি হয় আরও ধারালো। ৮৩ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুকুর দিকে বল দিয়ে তীব্র গতিতে পজিশন নিতে ছুটে যান এমবাপে। এনকাকুও দেন দারুণ পাস। তা ধরে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কোন সুযোগ না দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন সময়ের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড।

না হারলেও এ' লিগের ১ নম্বর গ্রুপের টেবিলে নিচে নামতে হয়েছে ফ্রান্সকে। তিন ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান সবার শেষে। এদিন আরেক ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

1h ago