বার্সেলোনার জন্য অপেক্ষা করবেন হালান্ড?

দেনা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। গত মৌসুমেই ক্লাবটির মোট ক্ষতি প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এমন অবস্থায় আর্লিং হালান্ডের মতো খেলোয়াড় কেনা প্রায় অসম্ভব বার্সেলোনার জন্য। তবে ক্লাবটির এ সংকট কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন এ তরুণ। এমনটাই বলেছেন তার মুখপাত্র মিনো রাইওলা।

অথচ হালান্ডকে কিনতে মুখিয়ে আছে অনেক জায়ান্ট ক্লাবই। তার রিলিজ ক্লজ পূরণ করেই তাকে দলে নিতে আগ্রহী রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, পিএসজির মতো ক্লাবগুলো। তার উপর আগামী জানুয়ারিতেই যদি দল বদল করতে চান তাহলে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই জানিয়েছে তার ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

এমন অবস্থায় বার্সেলোনার জন্য অপেক্ষা করা কি আসলেই সম্ভব? এমন প্রশ্নই করা হয়েছিল রাইওলার কাছে। তার উত্তর, 'সে (হালান্ড) যে কারোর জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কোনো ক্লাবের সঙ্গে আমাদের পূর্ব-চুক্তি করা নেই। আমরা তার জন্য সেরা বিকল্প খুঁজব এবং ডর্টমুন্ডেও আরও একটি বছর থাকা উড়িয়ে দিতে পারি না। তাত্ত্বিকভাবে, এটি এখনও সম্ভব।'

তবে সাম্প্রতিক সময়ের আর্থিক সংকটে বার্সার জন্য অপেক্ষা করা কতোটা বাস্তবধর্মী জানতে চাইলে এ মুখপাত্র বলেন, 'বার্সেলোনা সবসময়ই বিশ্বের অন্যতম বড় একটি ক্লাব। এমনকি তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সত্ত্বেও। এক বা দুই বছরের মধ্যে তারা ফিরে আসবে। তাদের কাছে দারুণ কিছু অর্থনৈতিক চুক্তি পাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ফিরে পেতে তাদের কেবল এক বা দুই বছর লাগবে।'

কদিন আগেই ডর্টমুন্ডের প্রধান নির্বাহী হ্যাঞ্জ-জোয়াখিম ওয়াটজকে জানিয়েছিলেন হালান্ডকে পেতে আগ্রহী প্রায় ২৫টির মতো ক্লাব। এরমধ্যে রিয়াল বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলেও জানান তিনি, 'আমি অন্তত ২৫টি ক্লাবের নাম বলতে পারি যারা হালান্ডের জন্য আগ্রহী। তবে আমি বলতে পারি রিয়াল মাদ্রিদ তার প্রতি খুবই আগ্রহী। হয়তো তাকে সেখানে দেখা যেতে পারে।'

এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কী করেন হালান্ড। ফুটবল পাড়ায় অবশ্য জোড় গুঞ্জন জানুয়ারির দল-বদলেই নতুন কোনো ক্লাবে দেখা যেতে পারে তাকে।

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

5h ago