বাসে বসে মেসির ভিডিও দেখে তারই মতো গোল!

বাসে করে পিটারবরোর মাঠে খেলতে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি দল। এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডের ওই ম্যাচের আগে পাশাপাশি বসেছিলেন জ্যাক গ্রিলিশ আর ফিল ফোডেন। সময় কাটানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ঢুঁ মারছিলেন তারা। সেসময় সামনে চলে আসে লিওনেল মেসির খেলার একটি ভিডিও। দুজনে মুগ্ধতার সঙ্গে দেখেন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন তারকার পায়ের জাদু।
ঘটনাটা শেষ হতে পারত সেখানেই। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির গোলের ভিডিও দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সেটাই আলোচনার খোরাক হয়েছে ফোডেনের চোখ ধাঁধানো পাসে গ্রিলিশের দুর্দান্ত একটি গোলের কারণে।
মঙ্গলবার রাতে পিটারবরোর বিপক্ষে সিটিজেনদের ২-০ গোলে জয়ের পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম আইটিভিকে গ্রিলিশ বলেন, 'এটা অবিশ্বাস্য। একই সঙ্গে এটা মজারও। কারণ, ম্যাচের আগে বাসে আমি আর সে (ফোডেন) পাশাপাশি বসেছিলাম। আমরা টুইটার ব্যবহার করছিলাম এবং সেসময় মেসির খেলার একটি ভিডিও দেখেছিলাম। আমার গোলের পর সে (ফোডেন) এসে বলল, ম্যাচের আগে আমরা ভিডিওতে যেমন দেখলাম, একদম তেমনই ঘটল।'
Phil Foden Jack Grealish =
(: @EmiratesFACup)pic.twitter.com/C61tkKPDMN
— GOAL (@goal) March 1, 2022
ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী সিটির দ্বিতীয় গোলটি আসে ইংলিশ ফরোয়ার্ড গ্রিলিশের পা থেকে। মাঝমাঠ থেকে তার উদ্দেশ্যে উঁচু করে বল বাড়ান ফোডেন। ওই পাসে এলোমেলো হয়ে পড়ে পিটারবরোর রক্ষণভাগ। ডি-বক্সের ভেতরে ডান পা দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের আলতো শটে জাল খুঁজে নেন গ্রিলিশ।
দুর্বল প্রতিপক্ষের মাঠে শক্তিশালী ম্যান সিটির পারফরম্যান্স অবশ্য আহামরি ছিল না। ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরে থাকা পিটারবরোর রক্ষণদেয়াল তারা ভাঙতে পারেনি প্রথমার্ধে। বিরতির পর ম্যাচের ৬০তম মিনিটে অবসান হয় অচলাবস্থার। আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরেজ এগিয়ে দেন সফরকারীদের। সাত মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান গ্রিলিশ।
চলতি মৌসুমের শুরুতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে অ্যাস্টন ভিলা থেকে গ্রিলিশকে দলে টেনেছে সিটি। কোচ পেপ গার্দিওলা তার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করলেও এখনও তিনি পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেননি নতুন ঠিকানায়। তার ঢিলেঢালা শুরুর পেছনে চোটের হানাও কম দায়ী নয়। পিটারবরোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত প্রায় এক মাসের মধ্যে প্রথমবার তিনি জায়গা পান মূল একাদশে। এর আগে পায়ের মাংসপেশির চোটে ভুগছিলেন তিনি।
২৬ বছর বয়সী গ্রিলিশ অবশ্য দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রকাশ করেন, 'আমি আরও অনেক কিছু প্রত্যাশা করি। আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে সাহায্য করছেন। আমি গোল ও অ্যাসিস্ট করতে চাই। তবে তিনি আমাকে বলেছেন যে এগুলোই সব না। তিনি অনেকগুলো বড় ম্যাচে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমার ধারণা, সেগুলোতে আমি ভালো করেছি।'
Comments