বিশ্বকাপে উঠে কানাডা কোচ, 'ভক্তরা আমাদের বিশ্বাস করেনি'

ছবি: টুইটার

'আমি শুরুতে যখন দায়িত্ব নিই, তখন বলেছিলাম, "আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে যাচ্ছি।" আমার মনে হয় না তারা (ভক্তরা) আমাদের বিশ্বাস করেছিল। আমি তাদের জন্য আনন্দিত। কারণ, এই ভক্তরা অপেক্ষার পর অপেক্ষা করেছে এবং আমাদের সঙ্গে থেকেছে। আর এবার আমরা যাচ্ছি (বিশ্বকাপে)।'

কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবেগঘন কথাগুলো বলেন কানাডা কোচ জন হার্ডম্যান। দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি টেনে ৩৬ বছর পর ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে খেলার টিকিট পেয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। অতীতে কেবল একবারই তারা খেলেছিল বিশ্বকাপে, ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোত অনুষ্ঠিত আসরে।

গণমাধ্যমের কাছে ইংলিশ কোচ হার্ডম্যান আরও জানান, 'আমরা মাত্রই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই দেশটি সত্যিকার অর্থেই ফুটবলপাগল।... আমি মনে করি, এই দেশটি কখনোই আমাদের (ফুটবল দলের) ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। কারণ, আমরা তাদেরকে বিশ্বাস রাখার মতো কোনো রসদ দিতে পারিনি। এখন তারা বিশ্বাস করছে।'

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে নিজেদের মাঠে ড্র হলেই চলত কানাডার। তবে প্রস্তুত থাকা উৎসবের মঞ্চে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে জয় দিয়েই উপলক্ষ রাঙায় তারা। রোববার রাতে ৩০ হাজার দর্শকে পূর্ণ টরন্টোর বিএমও স্টেডিয়ামে জ্যামাইকাকে তারা বিধ্বস্ত করে ৪-০ গোলে।

কনকাকাফ অঞ্চল থেকে এবার সবার আগে কাতার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা। ১৩ ম্যাচে ৮ জয়, ৪ ড্র ও ১ হারে তাদের পয়েন্ট ২৮। এই মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও রয়েছে অপেক্ষায়। ১৩ ম্যাচে সমান ২৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র দুইয়ে ও মেক্সিকো তিনে আছে।

ছেলেদের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বাছাইয়েই হার্ডম্যান বিশ্বকাপে তুলেছেন কানাডাকে। তার অধীনে ২০১২ ও ২০১৬ অলিম্পিকে মেয়েদের দল টানা দুবার জিতেছিল ব্রোঞ্জ। প্রায় ২০ বছর আগে জন্মভূমি ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের একাডেমি কোচ হিসেবে কাজ করা হার্ডম্যানের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে, 'এখনই সময় ফুটবলের পেছনে সবার সমবেত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। কারণ, আমরা (বিশ্ব ফুটবলে) একটি পরাশক্তি হতে পারি।'

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কানাডা ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও হাঙ্গেরির সঙ্গে একই গ্রুপে। সেবার তিন ম্যাচেই হেরে এবং কোনো গোল না করে তলানিতে থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।

Comments

The Daily Star  | English

July charter: Commission likely to push parties for legally binding deal

Following demands from several parties, including Jamaat-e-Islami, National Citizen Party, and Islami Andolan Bangladesh, the National Consensus Commission is considering a proposal to make the July National Charter a legally binding document.

8h ago