ভিলা গোলরক্ষককে আক্রমণ ম্যানসিটি সমর্থকদের

কেউ দিল কিল, কেউবা উড়ে এসে লাথি। শিরোপা উল্লাসে তাদের অপেক্ষায় রাখার জন্য যেন সব রাগ ওই গোলরক্ষক রবিন ওলসেনের উপর ঝাড়লেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে যাওয়ার সময় এমন দৃশ্যই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। যা রীতিমতো ভাইরাল।

ঘটনাটি আগের দিন ম্যানচেস্টার সিটি ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচ শেষে। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে হুড়মুড় করে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের মাঠে ঢুকতে থাকেন সিটির সমর্থকরা। ফলে মাঠ ছাড়ার সময়টাও পাননি খেলোয়াড়রা। তড়িঘড়ি করে ছাড়ছিলেন। কিন্তু বেচারা ওলসেন একটু পিছিয়ে পড়েন। তখন সিটি সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

আগের দিন অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রেখেছে সিটি। তবে অল্পের জন্যই রক্ষা পেয়েছে তারা। ম্যাচের ৭৫তম মিনিট পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল দলটি। এরপর পাঁচ মিনিটের চমকে তিনটি গোল আদায় করে নেয় তারা।

দ্বিতীয় গোলরক্ষক হলেও আগের দিন সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলেছেন ওলসেন। পাঁচটি দারুণ সেভ দিয়ে সিটির অপেক্ষা বাড়ানোর অন্যতম কারিগরই ছিলেন তিনি। তাতেই যেন সমর্থকদের সব রাগ ওই গোলরক্ষকের উপর। ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকে তার উপর আঘাত করতে থাকেন সমর্থকরা। তবে দুই নিরাপত্তা কর্মীর সহায়তায় শেষ পর্যন্ত ডাগআউটে পৌঁছাতে পেরেছেন ওলসেন।

ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ভিলা কোচ স্টিফেন জেরার্ডকে, 'এই প্রশ্নের উত্তর না। আমার গোলরক্ষকের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার মনে হয় এই প্রশ্ন করা উচিৎ ম্যানচেস্টার সিটি ও পেপকে। আমরা ফিরে পরীক্ষা করে দেখব সে (ওলসেন) ঠিক আছে কি-না।'

তবে সে ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে ম্যানসিটি কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতে তারা জানিয়েছে, 'ম্যানচেস্টার সিটি আন্তরিকভাবে অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক রবিন ওলসেনের কাছে ক্ষমা চাইছে, যিনি আজকের ম্যাচে ফাইনাল বাঁশি বাজানোর পরে মাঠে প্রবেশ ভক্তদের আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন।'

এমনকি খুব শীগগিরই তদন্ত করে সেই সব সমর্থকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ক্লাবটি, 'ক্লাবটি অবিলম্বে তদন্ত শুরু করছে এবং একবার চিহ্নিত হলে, দায়ী ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্টেডিয়াম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

2h ago