ভিয়ারিয়ালের প্রতিরোধ ভেঙে জিতল লিভারপুল
জমাট রক্ষণে প্রথমার্ধে লিভারপুলকে আটকে রেখেছিল ভিয়ারিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রেড ডেভিলদের আক্রমণের তোড়ে ভেঙে পড়ে হলুদ জার্সিদের প্রতিরোধের দেওয়াল। তিন মিনিটের ঝড়ে দুটি গোল আদায় করে নিয়ে দারুণ এক ম্যাচ জিতে নিয়েছে ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে লিভারপুল। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে।
নকআউট পর্বের প্রথম দুই রাউন্ডে বড় চমক উপহার দিয়েছে ভিয়ারিয়াল। টুর্নামেন্টের দুই ফেভারিট জুভেন্টাস ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো দল দুটিকে বিদায় করে দিয়েছে দলটি। জুভেন্টাসকে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে রুখে দেওয়ার পর অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ গোলে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতে বায়ার্নের মাঠে গিয়ে ১-১ ড্র করে দলটি।
সে ধারায় এদিনও শুরুটা দারুণ করেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। ম্যাচে মাঝমাঠে প্রায় একচ্ছত্র দখল রেখে খেলে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ৭৩ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদেরই। শটও নেয় ১৯টি। যারমধ্যে ৫টি রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে মাত্র ১টি শট নেয় ভিয়ারিয়াল। সেটাও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।
এদিন ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো লাল জার্সিধারীরা। একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মানে। ২২তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের নেওয়া দূরপাল্লার কোণাকোণি শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। ৩২তম মিনিটে মানের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়।
৪২তম মিনিটে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বারপোস্ট। থিয়াগো আলকান্তারার দূরপাল্লার বুলেট গতির শট গোলরক্ষক রুল্লিকে পরাস্ত করতে পারলেও পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আগ্রাসী ঢঙেই শুরু করে লিভারপুল। পাঁচ মিনিট পার হতেই বল জালে পাঠান ফ্যাবিনহো। তবে ভার্জিল ফন ডাইক অফসাইডে থাকায় গোল মিলেনি। ৫৩তম মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান প্রান্ত থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের নেওয়া শট ঠেকাতে পেরভিস এস্তুপিনানের বাড়িয়ে পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। ডিফেন্ডার পাও তোরেসকে নাগমেট করে দারুণ থ্রু পাস দেন সালাহ। আলতো এক টোকায় বল জালে পাঠান মানে। মৌসুমে এটা তার ২০তম গোল।
৬৪তম মিনিটে ভিয়ারিয়ালের জালে আবারও বল জড়িয়েছিলেন তারা। তবে বল জালে পাঠানোর সময় অফসাইডে থাকা গোল পাননি অ্যান্ড্রু রবার্টসন।
এরপরও বেশ কিছু সুযোগ গড়েছিল লিভারপুল। তবে জালের দেখা পায়নি দলটি। শেষ দিকে একমাত্র শটটি নিতে পারে ভিয়ারিয়াল। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের।
Comments