মূল পার্থক্য ছিল শক্তিতে: বাংলাদেশ কোচ

টানা দুটি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সের পর আগের দিন মালদ্বীপের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতে সমান তালে লড়াই করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচটি হাত থেকে ফসকে যায় তাদের। আর এমন হওয়ার মূল কারণ ক্লান্তিই ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। টানা ম্যাচ খেলার কারণে শক্তিতে পার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন এ কোচ।
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। বিরতির পর হামজা মোহামেদ মালদ্বীপকে এগিয়ে দেওয়ার পর সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান গোটা ম্যাচে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো আলী আশফাক।
ক্লান্তিকে একটা কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও হারের জন্য কোনো অজুহাত দেখাননি ব্রুজন, 'প্রথমত, আমি মালদ্বীপকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা আজ রাতে ভালো ছিল এবং আমাদের জন্য কোনো কিছুই কাজ করেনি। ৯০ মিনিট জুড়ে মালদ্বীপ ভালো ছিল এবং মূল পার্থক্য ছিল শক্তিতে। মালদ্বীপ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উদ্যমী ছিল কারণ তারা তাদের শেষ ম্যাচটি পাঁচ দিন আগে খেলেছিল যেখানে আমরা ৭২ ঘণ্টায় ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলেছি। তাই উচ্চ প্রত্যাশা সত্ত্বেও আমরা আমাদের মোমেন্টাম বজায় রাখতে পারিনি।'
নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামার আগে পাঁচ দিন বিশ্রাম পাচ্ছে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে আরও উদ্যমী হয়ে মাঠে নামার প্রত্যয় দেখালেন এ স্প্যানিশ কোচ, 'পরের ম্যাচে (পাঁচ দিনের বিরতির পর) আমরা ফ্রেশ হয়ে আসব। আমি আশা করি নেপালের বিপক্ষে এই শক্তি আমাদের পাশে থাকবে। এছাড়াও, আমাদের এখনও ফাইনালে খেলার সুযোগ রয়েছে। ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের আরও একটি বুলেট বাকি আছে।'
তবে ম্যাচে রেফারিংয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বসুন্ধরা কিংস কোচ, 'ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই রেফারি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। আমাদের এমন রেফারি থাকতে পারে না। পরাজয়ের কারণ রেফারি নয়, কারণ মালদ্বীপ ভালো ছিল। ম্যাচ জেতার জন্য তাদের সাহায্যের দরকার নেই। এটি একটি কারণ কিন্তু পরাজয়ের মূল কারণ নয়।'
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন বলেই জানালেন ৪৪ বছর বয়সী ব্রুজন, 'দ্বিতীয়ার্ধে, আমরা ফর্মেশন পরিবর্তন করেছিলাম। আমরা আরও আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছি এবং মালদ্বীপ ৪-২-৪ পদ্ধতিতে খেলেছে এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছে। প্রথমার্ধে আমাদের ডিফেন্স ছিল সর্বোচ্চ তবে যদিও বাঁ দিকে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, তারা প্রথমার্ধে একটি সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা দুর্দান্ত ছিল এবং গতি বাড়িয়েছিল এবং ম্যাচটি ধীরে ধীরে আমাদের হাত থেকে চলে যায়।'
আর এ পরিবর্তনের কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন এ কোচ, 'প্রথমার্ধ ছিল ৫০-৫০। মিডফিল্ডে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন ছিল এবং আমরা তাদের সব খেলোয়াড়কে ভালোভাবে ধরে রেখেছিলাম। ছেলেরা প্রথম গোলটি খাওয়ার পর বুঝে উঠতে পারছিল না কি করবে তাই আরো আক্রমণ করার জন্য আমি কিছু খেলোয়াড় বদলে ফর্মেশন পরিবর্তন করার চেষ্টা করি। কিন্তু মালদ্বীপ আজ রাতে ভাল ছিল।
Comments