ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডকে হারাল সিটি

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখাল ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া উজাড় করে দিলেন নিজেকে। কিন্তু তার লড়াই যথেষ্ট হলো না। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে প্রথমার্ধের দুই গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল সিটিজেনরা।
শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বিতে শেষ হাসি হেসেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওলে গানার সুলশারের দলের বিপক্ষে তারা জিতেছে ২-০ গোলে। এরিক বাইয়ের আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্নার্দো সিলভা।
প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর সিটির কাছে হারল ইউনাইটেড। ওই ম্যাচগুলোর তিনটিতে জিতেছিল রেড ডেভিলরা। বাকিটি হয়েছিল ড্র।
গোটা ম্যাচে ৬৮ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা সিটি গোলমুখে শট নেয় ১৬টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল পাঁচটি। বিপরীতে, বিবর্ণ ইউনাইটেডের পাঁচটি শটের কেবল একটি ছিল লক্ষ্যে।
তৃতীয় মিনিটেই গোলমুখে শট নেয় সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে বার্নার্দোর নেওয়া শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। তিন মিনিট পর ভীতি ছড়ায় ইউনাইটেড। লুক শয়ের ক্রসে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মাতে সিটি। বাম প্রান্ত থেকে হোয়াও ক্যান্সেলোর ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন বাই।
লিড নিয়ে ইউনাইটেডকে চেপে ধরে সিটি। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। ২৬তম মিনিটে অবশ্য অল্পের জন্য সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের। শয়ের ক্রসে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বাঁ পায়ের ভলি রুখে দেন এদারসন।
২৯তম মিনিটে ডি ব্রুইনের পাসে ক্যান্সেলোর শট ফিরিয়ে দেন দে হেয়া। চার মিনিট পর ফের দলকে রক্ষা করেন তিনি। ফিল ফোডেনের ক্রস নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন ভিক্টর লিন্ডেলফ। পা দিয়ে বিপদ আটকান দে হেয়া। পরের মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পাসে ডি ব্রুইনের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটও ফেরান তিনি।
৩৫তম মিনিটে ক্যান্সেলোর শট দে হেয়া ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত হয়নি। ডি-বক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন জেসুস। তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন লিন্ডেলফ।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বার্নার্দোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। ক্যান্সেলোর উঁচু করে বাড়ানো বলে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। দে হেয়ার অবশ্য দায় আছে এই গোলে। দুর্বল শট তার হাতের ফাঁক গলে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি ইউনাইটেড। অন্যদিকে, সিটি বিরতির আগের মতো মুহুর্মুহু আক্রমণ না চালালেও ম্যাচ রাখে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।
৬৭তম মিনিটে ডি ব্রুইনের পাসে ইলকাই গুন্দোয়ানের শট বাইরের দিকের জালে লাগে। নয় মিনিট পর আরেকটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয় সিটির। ডি ব্রুইনের ভলি থাকেনি লক্ষ্যে। ৮১তম মিনিটে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যবধান আরও বাড়ানো হয়নি সিটির। ফোডেনের শট বাধা পায় পোস্টে।
এই জয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে গেছে সিটি। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ২৩ পয়েন্ট। পাঁচে থাকা ইউনাইটেড সমান ম্যাচে পেয়েছে ১৭ পয়েন্ট।
Comments