রিয়ালের হারের দায় ভাগ্যকে দিলেন কোচ

৩১টি শট। যার ১১টিই ছিল আবার লক্ষ্যে। বলের দখল তো ৭৫ শতাংশ সময় ছিল তাদের পায়েই। কিন্তু গোল করতে পারলো একটি। অন্যদিকে মাত্র চারটি শট নিয়েই দুটি গোল করে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়ে গেল নবাগত শেরিফ। এমন ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশা গোপন করতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কেবল ভাগ্য সঙ্গে ছিল না বলেই হেরেছেন বলে মনে করেন তিনি।
অথচ ঘরের মাঠে খেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার সবচেয়ে সফল দলও তারা। প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্তির বিচারেও যোজন যোজন পার্থক্য। শেরিফের পুরো ক্লাবের খরচও রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের বেতনের চেয়ে কম। কিন্তু এ রিয়ালের বিপক্ষেই ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় মালডোভার পুঁচকে দলটি।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকেই শেরিফকে কোণঠাসা করে রাখে রিয়াল। কিন্তু ধারার বিপরীতে শুরুতেই গোল হজম করে দলটি। এরপর স্পটকিক থেকে করিম বেনজেমা দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরাতে পারলেও শেষ দিকে সাবেস্তিয়ান থিলের বুলেট গতির ভলিতে স্তব্ধ হয়ে যায় বার্নাব্যু।
এমন হারের পর আনচেলত্তি বলেন, 'দুশ্চিন্তার চেয়ে আমি কিছুটা দুঃখিত কারণ আমার মনে হয় জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আপনারা বলতে পারেন আমরা দুর্ভাগা ছিলাম। আমরা ছোট বিবরণে ম্যাচটি হেরেছি। তারা পাল্টা আক্রমণ করে এবং থ্রো-ইন থেকে তাদের গোল আদায় করে। আমাদের লক্ষ্যে প্রচুর শট ছিল কিন্তু কখনো কখনো ভাগ্য আপনাকে ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।'
এদিন ম্যাচে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন আনচেলত্তি। কামাভিঙ্গাকে কিছুটা নিচের দিকে খেলিয়ে সে তুলনায় ভালভার্দেকে উপরে খেলিয়েছেন। তবে দিন শেষে হারের জন্য কৌশল নয়, দুর্ভাগ্যের জন্য হেরেছেন বলে জানান এ কোচ, 'ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কামাভিঙ্গাকে লেফট ব্যাক খেলানোয় আমরা হারিনি। আমরা হেরেছি দুর্ভাগ্যের কারণে। ওই সব থ্রো-ইনের...'
আশার কথা পুরো ম্যাচ জুড়ে এদিন দারুণ খেলেছেন এডেন হ্যাজার্ড। খুব শীগগিরই গোলের দেখা পাবেন বলেও আসা করছেন আনচেলত্তি, 'তার (হ্যাজার্ড) একটা গোলের অভাব, কেবল একটা গোল। ও বেনজেমার সঙ্গে দারুণ খেলেছে। সে বক্সের মধ্যেও ঘুরে বেড়িয়েছে। তার কেবল একটা গোল চাই।'
Comments