রিয়ালের হোঁচট খাওয়ার দিনে জয়ে ফিরল বার্সা

কোপা দেল রে'র ম্যাচে এলচের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দারুণ এ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই দলটির বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচেও আগের দিন দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। এদিন অবশ্য জয় না পেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে হার এড়িয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। একই দিনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা জয় পেয়েছে দিপার্তিভো আলাভেসের মাঠে।
রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এলচের বিপক্ষে ২-২ গোল ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। আর আলাভেসের মাঠে স্বাগতিকদের ১-০ গোলের ব্যবধানে হারায় বার্সেলোনা।
২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে রিয়ালের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট। ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেভিয়া। ২১ ম্যাচে ৯ জয় ও ৮ ড্রয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৫। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এদিন লুকাস বোয়ের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পেরে মিয়ার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে এলচে। ম্যাচের শেষ দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে লুকা মদ্রিচ ও এদের মিলিতাওয়ের গোলে সমতায় শেষ করে রিয়াল।
ম্যাচে অবশ্য প্রাধান্য ছিল রিয়ালেরই। ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে শট নেয় ২৩টি। যার ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে এলচে মাত্র ৩টি শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে। আর সেই দুটি শট থেকেই গোল পায় দলটি।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা রিয়াল ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করতে পারেননি করিম বেনজেমা। উল্টো ৪২তম মিনিটে ধারা বিপরীতে গোল হজম করে। ফিদেল চেভাসের ক্রসে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন বোয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। তবে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। ৭৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে রিয়াল। বোয়ের পাস থেকে দারুণ এক কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন মিয়া। দুই মিনিট পর কাসেমিরোর হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
৮২তম মিনিটে ব্যবধান কমায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে বল জালে পাঠান লুকা মদ্রিচ। তার কর্নারে ডি-বক্সে এলচে ফরোয়ার্ড মিয়ার হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা টানেন মিলিতাও। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্রসে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করে এ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
দিনের অপর ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ঝাম ঝরানো জয় পায় বার্সেলোনা। তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল কাতালান ক্লাবটি। যথারীতি বল দখলে সবসময়ই আধিপত্য থাকলেও আক্রমণে ছিল না কোনো ধার।
৮৭তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে জর্দি আলবার ক্রসে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংকে পাস দেন ফেরান তোরেস। বাকি কাজ অনায়াসেই করে এ ডাচ মিডফিল্ডার।
Comments