রোনালদোর চেয়ে জুভেন্তাস সব সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে তিন বছর থাকলেও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কাছ থেকে জুভেন্তাস সেরাটা পায়নি বলে জানিয়েছেন মাউরিজিও আরিভাবেনে। পাশাপাশি ইতালিয়ান পরাশক্তিদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মতে, একজন খেলোয়াড়ের চেয়ে ক্লাব সব সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্তাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন রোনালদো। পর্তুগিজ এই মহাতারকাকে পেতে তুরিনের বুড়ি খ্যাত ক্লাবটিকে খরচ করতে হয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ইউরো। গত বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার আগে গোলমুখে তিনি ছিলেন বরাবরের মতো অসাধারণ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩৪ ম্যাচে ১০১ গোল করেন রোনালদো।

উজ্জ্বল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে দলীয়ভাবেও সফলতা অর্জন করেন ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো। জুভেন্তাসের জার্সিতে দুটি সিরি আসহ মোট পাঁচটি শিরোপা জেতেন তিনি। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায়নি ক্লাবটি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ মৌসুমে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যায় তারা। রোনালদোর সবশেষ মৌসুমে সিরি আর শিরোপাও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় জুভেন্তাস। অথচ আগের নয় মৌসুমের প্রতিটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।

রোনালদোর জুভেন্তাসে থাকাকালে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। তাতে অন্যান্য লিগগুলোর মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিরি আ। একই বছরের শেষদিকে রোনালদো নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। সেরে উঠতে তার সময় লেগেছিল প্রায় তিন সপ্তাহ। সেসবের দিকে ইঙ্গিত করে স্বদেশি গণমাধ্যম তুত্তোস্পোর্তের কাছে বৃহস্পতিবার আরিভাবেনে বলেছেন, 'করোনার কারণে রোনালদোর সম্ভাবনা পূর্ণতা পায়নি জুভেন্তাসে। এটা দুঃখজনক।'

রোনালদোর সর্বোচ্চটা না পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেও কোনো খেলোয়াড়কে ক্লাবের চেয়ে ঊর্ধ্বে দেখছেন না আরিভাবেনে, 'তবে আমি নিশ্চিত, জুভেন্টাস যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বড়। এই ক্লাবের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই ক্লাবটি সব সময় একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যেসব নিয়মকানুন রয়েছে তা আমিসহ প্রত্যেককে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।'

উল্লেখ্য, রোনালদো জুভেন্তাস ছাড়ার কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান ৬৫ বছর বয়সী আরিভাবেনে। ২০১২ সাল থেকে ক্লাবটির একজন স্বাধীন বোর্ড সদস্যের ভূমিকায় আছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago