লিভারপুলের হারে সালাহ ও মানেকে দায় দিলেন ওয়েঙ্গার

অনেক চেষ্টা করেও মোহামেদ সালাহর প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি। সাদিও মানে অল্পের জন্য পারেননি জাল খুঁজে নিতে। তাই হারের তীব্র বেদনা নিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ করতে হয়েছে লিভারপুলকে। তবে আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অলরেডদের এই দুই তারকাকে। তার মতে, ফাইনালে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না সালাহ ও মানে। পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন ওয়েঙ্গার।
শনিবার রাতে প্যারিসের স্তাদে দে ফ্রান্সে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে নেয় রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পা থেকে জয়সূচক গোলটি এলেও অসাধারণ নৈপুণ্যে নয়টি সেভ করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন স্প্যানিশ ক্লাবটির গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী কোর্তোয়া।
ফাইনালের প্রায় পুরোটা সময় আক্রমণে দাপট দেখায় ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের সমস্ত প্রচেষ্টা অবশ্য তাল হারিয়ে ফেলে কোর্তোয়া নামক নিরেট দেয়ালের সামনে। মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ একাই লক্ষ্যে রেখেছিলেন ছয়টি শট। কিন্তু রিয়ালের গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৮ সালের ফাইনালে রিয়ালের কাছে আগের হারের প্রতিশোধ নেওয়ার স্বপ্ন সালাহর থেকে গেছে অধরা। অন্যদিকে, ম্যাচের ২১তম মিনিটে মানে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিলেন। তবে কোর্তোয়া ও ভাগ্যের কল্যাণে বেঁচে যায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড মানের জোরালো শট কোনোক্রমে আটকে দেন কোর্তোয়া। তার হাতে লেগে বল বাধা পায় পোস্টে।

লিভারপুলের 'কোয়াড্রাপল' (এক মৌসুমে চারটি শিরোপা) জয়ের আশা ভেস্তে গিয়েছিল গত সপ্তাহে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষদিনে তাদেরকে হতাশায় মুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানচেস্টার সিটি। এবার রিয়ালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও হাতছাড়া হওয়ায় অলরেডদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে কেবল এফএ কাপ ও কারাবাও কাপ নিয়ে।
প্রিমিয়ার লিগ জিততে না পারায় সালাহ ও মানের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরে গিয়েছিল বলে মনে করছেন ওয়েঙ্গার। ফাইনালে তাদের পারফরম্যান্সে ছন্দের অভাব দেখতে পেয়েছেন তিনি, 'এই ম্যাচ দেখার পর আমি ভাবছি, গত সপ্তাহে মৌসুমের শেষ ম্যাচে (প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা) জিততে না পারার হতাশা তাদের আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি তৈরি করেছে কিনা। সালাহ ও মানে- যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তাদের চেনা সজীবতা ছিল না বলে অনুভব করেছি।'
সালাহ ও মানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও দুর্দান্ত সব সেভ করা কোর্তোয়াকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ওয়েঙ্গার, 'সব মিলিয়ে তারা (লিভারপুল) পিছিয়ে ছিল। আমাদের সততার সঙ্গে বলতে হবে, এটা হয়েছে কোর্তোয়ার কারণে। একটা সময়ে আমার মনে হয়েছে, যদি লিভারপুল স্কোরলাইন ১-১ করতে পারে, তাহলে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিততে পারবে। কিন্তু তারা সেই বিশেষ মুহূর্ত খুঁজে পায়নি, যখন তারা সুযোগগুলোকে পূর্ণতা দিতে পারত। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো কোর্তোয়া।'
Comments