লুকাকুর গোলে স্বস্তির জয় চেলসির

প্রথমার্ধে জমাট রক্ষণে চেলসিকে প্রায় খোলসে বন্দী করে রেখেছিল জেনিত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন ভিন্ন চেলসি নামে মাঠে। একের পর এক আক্রমণে রাশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের কোণঠাসা করে শেষ পর্যন্ত গোল আদায় করে নেয় ইংলিশ দলটি। ফলে স্বস্তির জয়েই মাঠ ছেড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
স্টামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে জেনিতের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে চেলসি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রোমেলু লুকাকু।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেনি চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের একক আধিপত্যে শেষ পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ বল পায়ে ছিল তাদের। শটও নেয় ১১টি। অন্যদিকে ৬টি শট নিতে পারে জেনিত।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু আক্রমণও করলেও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল চেলসি। গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পায় জেনিত। ৩৮তম মিনিটে রাকিস্কির গোলরক্ষক বরাবর শটে তেমন জোর না থাকায় সহজেই লুফে নেন এডওয়ার্ড মেন্ডি। চার মিনিট পর কার্যত প্রথম শটটি নিতে পারে চেলসি। ডান প্রান্ত থেকে রিস জেমসের ক্রস থেকে লুকাকুর নেওয়া হেড অবশ্য লক্ষ্যে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো চেলসি। দূরপাল্লার দারুণ শট নিয়েছিলেন হাকিম জিয়েক। ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শট ঠেকান জেনিত গোলরক্ষক স্তানিস্লাভ ক্রিতসুক। ৫০তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যান্টনিও রুডিগার। তবে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে মৌসুমের অন্যতম সেরা গোল হতে পারতো।
ছয় মিনিট পর লুকাকুর সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ভালো শট নিয়েছিলেন জেমস। তার শটও অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৬০তম মিনিটে সুযোগ ছিল জেনিতেরও। একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন সরদার আজমাউন। তবে রুডিগারের অসাধারণ ব্লকে সে যাত্রা বেঁচে যায় চেলসি।
৬৯তম মিনিটে লুকাকুর গোলে ডেডলক ভাঙে চেলসি। সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস থেকে লাফিয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ এ বেলজিয়ান। নয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়াতে পারতো চেলসি। এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন মার্কোস অলানসো। অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন বদলি খেলোয়াড় বদলি খেলোয়াড় আর্তেম যুবা। আজমাউনের ক্রস ঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পাড়লেই গোল পেত দলটি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকু। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ব্লক করে বিপদমুক্ত করেন। তবে তাতে চেলসির জয় আটকানো যায়নি। স্বস্তির জয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
Comments