শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল বার্সেলোনা

শুরুটা দারুণভাবেই করেছিল বার্সেলোনা। দুই মিনিট না যেতেই এগিয়ে যায় দলটি। কিন্তু সে লিড পারেনি ধরে রাখতে। দুই অর্ধে দুটি গোল হজম করে হারের খুব কাছাকাছি ছিল তারা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে লুক ডি ইয়ংয়ের দারুণ এক গোলে স্বস্তি পায় কাতালানরা।
রোববার রাতে আরসিডিই স্টেডিয়ামে লা লিগার ম্যাচে এস্পানিওলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। লুক ডি ইয়ংয়ের সঙ্গে বার্সেলোনার হয়ে অপর গোলটি করেছেন পেদ্রি। এস্পানিওলের হয়ে গোল দুটি করেন সের্জিও দার্দে ও রাউল দে তমাস।
অন্তিম সময়ের গোলে কাতালান ডার্বিতে অপরাজেয় যাত্রাও ধরে রাখল বার্সেলোনা। টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত দলটি। যার মধ্যে ১৮টি জিতেছে বার্সেলোনা।
বরাবরের মতো মাঝ মাঠের দখল বার্সেলোনার থাকলেও ম্যাচে লড়াইটা হয় সমান তালেই। ৬৪ শতাংশ সময় বল পায়ে ছিল বার্সার। তবে শট নিতে পেরেছেন ১২টি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৪টি। অন্যদিকে ১০টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে এস্পানিওল।
এদিন ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস দেন জর্দি আলবা। ফাঁকায় আলতো ভলিতে বল জালে পাঠান পেদ্রি। ৩৭তম মিনিটে আদামা ত্রাওরের জোরালো শট গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজ ঝাঁপিয়ে না ঠেকালে ব্যবধান বাড়তে পারতো।
এর তিন মিনিট পরই সমতায় ফেরে এস্পানিওল। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে কাটব্যাক করে দার্দেকে দেন দে তমাস। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নিখুঁত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৫৬তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিলেন গাভি। কিন্তু পেদ্রির থেকে বল পাওয়ার সময় ফ্র্যাংকি ডি ইয়ং ছিলেন অফসাইডে। ফলে ভিএআরে গোল মিলেনি দলটির। এর আট মিনিট পর এগিয়ে যায় এস্পানিওল। দার্দের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার দে তমাস।
এরপর অবশ্য গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। শেষ ১০ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে তিন খেলোয়াড় বহিষ্কার হন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বার্সেলোর জেরার্দ পিকে ও এস্পানিওলের নিকোলাস মেলামেদ এবং শেষ সময়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এস্পানিওলের মিডফিল্ডার মানুয়েল মোরনালেস।
তবে দুই দলের খেলোয়াড় সমান ১০ জন থাকতেই সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। ডান প্রান্ত থেকে ত্রাওরের ক্রসে লাফিয়ে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান ডাচ ফরোয়ার্ড ডি ইয়ং। ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়াতে পারলেও বল ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক।
এ ড্রয়ের পর ২৩ ম্যাচে ১০ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৫৪ পয়েন্ট। সমান ২৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে এস্পানিওল।
Comments