সন এখনও 'ওয়ার্ল্ডক্লাস' খেলোয়াড় নয়, দাবি তার বাবার

কোনো পেনাল্টি গোল ছাড়াই এবার ইপিএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সন হিউং-মিন। তাতে তার বন্দনায় মেতেছে পুরো বিশ্ব। কিন্তু ওইদিকে তার বাবা সন উং-জুং হাঁটছেন উল্টো পথে। এখনও তার ছেলে 'ওয়ার্ল্ডক্লাস' খেলোয়াড় হতে পারেননি বলেই মনে করেন তিনি!

লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহর সমান ২৩ গোল করে যৌথভাবে এবার ইপিএলের গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছেন সন। প্রথম এশিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে এ কীর্তি গড়েন তিনি। কিন্তু তাতে তার বাবা তৃপ্ত নন। বিশ্বমানের খেলোয়াড় হওয়ার জন্য আরও ১০ শতাংশ উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এরজন্য তাকে আরও বেশি কঠিন পরিশ্রম করার পরামর্শ দিয়েছেন।

সেরা গোলদাতা হওয়ায় সনকে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নিষেধ করেন তার বাবা। সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'ওকে (সন) আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আরও উন্নতি করতে হবে। ও এখন যা অর্জন করেছে তাতে যদি ও সন্তুষ্ট থাকে তাহলে এটা ওর জন্য সংকটের পথ তৈরি করবে।... যারা প্রস্তুত থাকে কেবল তারাই সমস্যা থেকে বাঁচতে পারে। ওকে সতর্ক মন নিয়ে সবকিছুর মুখোমুখি হতে হবে এবং খুব বেশি গর্বিত হওয়ার সুযোগ নেই।'

বর্তমানে টটেনহ্যামে খেলেন সন। শিরোপা দৌড়ে প্রতি আসরেই লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থাকে দলটি। শেষ ৬০ বছরে জিততে পারেনি লিগ শিরোপা। প্রিমিয়ার লিগ যুগে তো কেবল দুটি লিগ কাপই তাদের ভরসা। স্বাভাবিকভাবেই কোনো শিরোপার মুখ দেখেননি সন।

সনকে আরও বড় কোনো ক্লাবে বড় ভূমিকায় দেখতে চান তার বাবা, 'সেরা ফর্মে থাকার জন্য ওকে সবসময় আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে, আপনার কি তাই মনে হয় না? ও যেখানে আছে সেখানে থেকে খুশি হওয়ার পরিবর্তে, আমি সবসময় চাই যে সে আরও ১০ শতাংশ ভালো খেলুক। ওকে অবশ্যই বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলোর একটিতে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।'

বিশ্বমানের কাতারে পৌঁছাতে আরও ১০ শতাংশ উন্নত করতে হবে বলে মনে করেন তিনি, 'তখনই ও বিশ্বমানের খেলোয়াড় হয়ে উঠবে। যখন, আমি যেমনটা আগেই বলেছি, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ওকে অবশ্যই প্রতিটি দিকে আরও ১০ শতাংশ ভালো করতে হবে। ও এই বছর অনেক গোল করেছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে সে পরের বছরও একই রকম করবে।'

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

46m ago