সেই শেরিফকে উড়িয়ে দিয়ে নকআউট পর্বে রিয়াল
প্রথম লেগে শেরিফ তিরাসপুলের বিপক্ষে হেরেই কাজটা কঠিন করে ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দ্বিতীয় লেগে তাদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে দলটি। উল্টো এক ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে তারা।
বুধবার বোলশিয়া স্পোর্টিভনায়া অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে শেরিফ তিরাসপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন দাভিদ আলাবা, টনি ক্রুস ও করিম বেনজেমা।
এর আগে নিজেদের মাঠে প্রথম দেখায় শেরিফের কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল রিয়াল। পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল। গ্রুপের অপর ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্ককে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। শেষ রাউন্ডে নিজেদের মধ্যকার লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে কারা হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
এদিন ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল পেয়ে রেখে খেলে রিয়াল। শট নেয় ১২টি। যার ৫টি ছিল লক্ষে। তবে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ বেশি করে শেরিফই। মোট ১৭টি শট নেয় তারা। যার ৮টি লক্ষ্যে রেখেও গোল পায়নি দলটি।
তবে ম্যাচের শুরুতে শেরিফ শিবিরে বেশ চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে রিয়াল। দশম মিনিটে বল জালেও পাঠিয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু এ ফরাসি এই স্ট্রাইকার ও রদ্রিগো ছিলেন অফসাইডে থাকায় গোল মিলেনি তাদের।
৩০তম মিনিটে ভাগ্য সঙ্গে থাকায় গোল পেয়ে যায় রিয়াল। ফ্রিকিক থেকে আলাবার নেওয়া শট গোলরক্ষক বরাবরই যাচ্ছিল। শেরিফের এক খেলোয়াড় ঠেকাতে গেলে তার পায়ে লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করলে এগিয়ে যায় দলটি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রুস। ডি-বক্স থেকে তার নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারে লেগে নিচের দিকে পড়ে ড্রপ খেয়ে ফিরে আসে। প্রথমে গোল না দিলেও পরে গোল লাইন প্রযুক্তির সহায়তায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিট যেতেই ব্যবধান আরও বাড়ায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ ফরাসি স্ট্রাইকার।
এরপর ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় রিয়াল শিবিরে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল রিয়াল। ভাগ্য সঙ্গে ছিল না তাদের। দুর্দান্ত কিছু সেভ করেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তুয়া। বারপোস্টে লেগেও বল ফিরে আসে। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসা দলটিকে।
Comments