হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন ক্রুস
বয়স কেবল ৩১। অথচ সবাইকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জার্মানির তারকা টনি ক্রুস। রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডারের মতে, জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার এটাই উপযুক্ত সময়।
শুক্রবার আচমকা আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ক্রুস। গত মঙ্গলবার রাতে ইউরো ২০২০-এর শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের কাছ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় জার্মানি। সেটাই হয়ে থাকল জাতীয় দলের জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ।
২০১০ সালের মার্চে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক হয়েছিল ক্রুসের। এরপর এক দশকেরও বেশি সময়ে তিনি খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, গোল করেছেন ১৭টি। জার্মানদের হয়ে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির আছে আর মাত্র ছয়টি।
তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ক্রুস জাতীয় দলের হয়ে সেরা মুহূর্তটি উপভোগ করেন ২০১৪ সালের টুর্নামেন্টে। ব্রাজিলের মাটিতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর মাত্র দেড় বছরের মতো বাকি। তার আগে ক্রুসের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় জাগা স্বাভাবিক। তবে তিনি জানিয়েছেন, সবদিক ভেবেচিন্তে অবসরে যাচ্ছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিদায়ী বার্তায় ক্রুস লিখেছেন, ‘আমি জার্মানির হয়ে ১০৬ ম্যাচে খেলেছি। আর একটি ম্যাচেও খেলব না। আমি নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি এবং ১০৯ ম্যাচ (কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে) খেলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে শেষ করতে পারলে আমার খুব ভালো লাগত।’
নিজের সিদ্ধান্ত নেই কোনো সংশয় নেই তার, ‘এই টুর্নামেন্টের পরে জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত আমি অনেক আগেই নিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি এই বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে, আমি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেব না।’
ভক্তদের পাশাপাশি সমালোচকদে কাছেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ক্রুস, ‘এত দীর্ঘ সময় ধরে জার্মানির জার্সি পরতে পারাটা আমার কাছে বিশাল সম্মানের ব্যাপার ছিল। আমি এটি গর্ব ও আবেগের সঙ্গে করেছি। ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ, যারা আমাকে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং সমর্থন করেছেন। সমালোচকদেরও ধন্যবাদ বাড়তি অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।’
Comments