১০ মাস পর ফিরেই ফাতির গোল, জিতল বার্সেলোনা

লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সিটা তার গায়ে। মর্যাদার এ জার্সি পরার যে একজন যোগ্য উত্তরসূরি তিনি, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন নিজের প্রথম ম্যাচেই। অথচ ইনজুরি কাটিয়ে ১০ মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরেছেন আনসু ফাতি। আর তার ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনাও ফিরেছে স্বরূপে। টানা দুটি ড্রয়ের পর স্বস্তির জয় পেয়েছে দলটি।
ক্যাম্প ন্যুতে রোববার লেভান্তেকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে গোল তিনটি করেছেন মেমফিস ডিপাই, লুক ডি ইয়ং ও আনসু ফাতি।
এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৭ নম্বরে থাকা লেভান্তে পেয়েছে ৪ পয়েন্ট। সাত ম্যাচ ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সাম্প্রতিক সময়ে বার্সেলোনা যেন নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারছিল না। আর এ কারণে সমালোচনাও হচ্ছিল ব্যাপক। যে কোনো সময়ে ছাঁটাই হতে পারতেন কোচ রোনাল্ড কোমানও। তবে স্বস্তির খবর লেভান্তের বিপক্ষে ভালো ফুটবল খেলেই জিতেছে দলটি।
জয়ের আনন্দের চেয়ে দলটির জন্য আরও বেশি আনন্দের খবর ফাতির ফেরা। মেসির সঙ্গে আতোঁয়ান গ্রিজমানও দল ছাড়ার পর তারকা শূন্যতায় ছিল দলটি। ফাতি ফিরলেন ফাতির মতো করেই। মাঠে নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল করে যেন আশ্বস্ত করলেন সমর্থকদের।
বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর মৌসুমের শুরুতে আশার আলো দেখিয়েছিলেন মেমফিস। কিন্তু গত কয়েক ম্যাচে নিজের খোলসেই ছিলেন এ ডাচ তারকা। এদিন ম্যাচের পুরোটা সময়ই দারুণ খেলেছেন। গোল করেছেন। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেনও। সবমিলিয়ে আশার আলো দেখালেন বার্সা সমর্থকদের।
তবে ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং দক্ষতা আরও ভালো হলে ব্যবধানটাও বড় হতে পারতো আরও। ম্যাচের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নিয়েছে ২০টি। যার ১২টিই আবার ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি লেভান্তে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা ভালো ফুটবল উপহার দিয়ে ছয়টি শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে দলটি।
এদিন ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন মেমফিস। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার মুখে তাকে নেমানিয়া রাদোইয়া ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আট মিনিট পর পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। মেমফিসের কাছ থেকে বল পেয়ে ফাঁকায় থাকা লুক ডি ইয়ংকে পাস দেন সের্জিনো ডেস্ট। নিখুঁত এক ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ ডাচ তারকা।
২২তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন জেরার্দ পিকে। একেবারে শূন্য পোস্টে বল পেয়েও ঠিকভাবে পা লাগাতে পারেননি তিনি। ৩৬তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেমফিস। গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ছয় মিনিট পর তার হেড দারুণ দক্ষতায় ঠেকান লেভান্তে গোলরক্ষক এইতর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও মেমফিসকে আরও এক দফা হতাশ করেন লেভান্তে গোলরক্ষক। ৬৫তম মিনিটেও তার শট ঠেকান এইতর।
৮১তম মিনিটে লুক ডি ইয়ংয়ের জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ফাতি। এর ১০ মিনিট পর অর্থাৎ যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ তরুণ। ফলে বড় ব্যবধানেই জয় পায় বার্সেলোনা।
Comments