মাইলফলকের সামনে অধিনায়ক মাশরাফি
ইনজুরি বাঁধ না সাধলে এই মাইলফলক হয়ত আগেই স্পর্শ করতেন। চোট জর্জর ক্যারিয়ারে সংকট কাটিয়ে অবশেষে মাশরাফি মর্তুজা অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে পঞ্চাশতম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন। তার আগে বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে পঞ্চাশ বা তারবেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন ও সাকিব আল হাসান। তবে সবার চেয়েই পরিসংখ্যানে মাশরাফি ঢের এগিয়ে।
রোববার ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অধিনায়ক মাশরাফির এই মাইলফলকের ম্যাচ। পরিসংখ্যানে চোখ না বুলিয়েও যে কেউ বলে দিতে পারেন ওয়ানডেতে মাশরাফি মর্তুজাই বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক। ইনজুরি বড় করতে দেয়নি টেস্ট অধিনায়কত্ব। তবু নেতৃত্বগুণে সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অধিনায়ক তিনিই। আর সেই জনপ্রিয়তা এসেছে মাঠের ফল থেকেই।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুল বাশার। তাতে আছে ২৯ জয় ও ৪০ হার। সাকিব আল হাসান টস করতে নেমেছেন ঠিক ৫০ বার। তার নেতাগিরিতে ২৩ বার জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ২৬টি ম্যাচ। অপরদিকে ৪৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে বেশিরভাগই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মাশরাফি। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশ জিতেছে ২৭ ম্যাচ, হেরেছে ২০ ম্যাচ, বাকি দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত। সেরা মঞ্চেও সাফল্য এসেছে মাশরাফির হাত ধরেই। মাশরাফির অধিনায়কত্বেই ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে যা দেশের ইতিহাসের সেরা সাফল্য।
অধিনায়কের মাইলফলের ম্যাচে অবশ্য বেশ চাপে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একের পর এক হারে দলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। চোটের কারণে নেই দলের অন্যতম সেরা দুই অস্ত্র মোস্তাফিজুর রহমান ও তামিম ইকবাল।
তবে মাশরাফিকে অনুপ্রেরণা দিতে পারে একটি তথ্য। অধিনায়কদের এমন মাইলফলকের ম্যাচে আগের দুবারই যে হারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক হাবিবুলের ৫০তম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়ক সাকিবের ৫০তম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
আগের দুবারই প্রতিপক্ষ আর পরিস্থিতি ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে। এবার তা একেবারেই ভিন্ন। অধিনায়ক মাশরাফির মাইলফলকের ম্যাচ থেকে ভালো ফল বের করা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে পারলে হোয়াইটওয়াশও এড়াতে পারবে মাশরাফির দল।
Comments