অধিনায়ক বাবরের নতুন রেকর্ড

কী দারুণ ছন্দেই না আছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। এরমধ্যেই নানা কীর্তি গড়ে ফেলেছেন এবারের বিশ্বকাপে। একই সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে তার দলও। তাতে অনেকেই তাদের এবারের আসরের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছেন পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে এবার নতুন কীর্তি গড়ে নিজেদের পথ চলা শুরু করে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপে বরাবরই যেখানে ভারতের কাছে হার দেখে পাকিস্তান, সেখানে উল্টো জয় তো ছিনিয়ে নিয়েছে তারা, রীতিমতো ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দলটি।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সে ম্যাচেই দারুণ এক ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন বাবর। সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচেই করেছেন চারটি হাফসেঞ্চুরি। যা অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ।
শুধু বিশ্বকাপ নয়, টি-টোয়েন্টির যে কোনো আসর ও সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে ৪টি ফিফটি করার নজির নেই কেউর। চলতি বছরেরই শুরু দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ফিফটি করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাসও করেছিলেন ৩টি হাফসেঞ্চুরি।
বাবরের কীর্তিটি শুধু অধিনায়ক হিসেবে নয়, খেলোয়াড় হিসেবেও। এক বিশ্বকাপে সবেচেয়ে বেশি ফিফটির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। এর আগে খেলোয়াড় হিসেবে এক আসরে সমান চারটি করে ফিফটি করার রেকর্ড করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ হেইডেন ও ভারতের বিরাট কোহলি। ২০০৭ বিশ্বকাপে হেইডেন ও ২০১৪ বিশ্বকাপে কোহলি এ কীর্তি গড়েছিলেন। তবে তাদের ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তত একটি ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন বাবর।
একই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে রান করার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন বাবর। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত তার রান সংখ্যা ২৬৪। এর আগে ২০১২ বিশ্বকাপের আসরের লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে করেছিলেন ২১২ রান। তবে এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছেন কোহলি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৩১৯ রান করেছিলেন বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক।
অধিনায়ক বাবরের এমন অনন্য রেকর্ডে পাকিস্তানও বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছে। সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পাওয়া একমাত্র দল পাকিস্তান। এমনকি এই পাঁচ ম্যাচ তারা খেলেছে একাদশে কোনো পরিবর্তন না এনে। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা ধরে রেখেছে। শেষ পাঁচ বছরে সেখানে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারেনি তারা। টানা ১৬টি ম্যাচে জয় পেল দলটি।
Comments