'ওই দুটি ম্যাচ জিতলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত'

শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হার মানে বাংলাদেশ। মাঝে ইংল্যান্ডের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ল তারা। স্কোরবোর্ডে একশ রানও জমা করতে না পারা লাল-সবুজ জার্সিধারীরা পরাস্ত হলো ৬ উইকেট। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল তারা। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে এরপর ফুটে উঠল শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দুটির ফল নিয়ে আক্ষেপ।
মঙ্গলবার আবুধাবিতে পেসারদের উপযোগী উইকেটে বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখায় বাংলাদেশ। আইনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদার তোপে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এরপর ৩৯ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল মাঝপথেই। তবে তাসকিন আহমেদ প্রোটিয়াদের উৎসবকে কিছুটা বিলম্বিত করেন। চার ওভারের কোটা পূরণ করে ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নের কথা ঘুরেফিরে বলেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু সুপার টুয়েলভে টানা চার হারে এক নম্বর গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে তারা।
সেমির আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো এই বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা হতাশাজনক। কিন্তু আমরা দুটি ম্যাচ জিততে পারতাম (শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে)। আমরা যদি ওই দুটি ম্যাচ জিততাম, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো।'
সুপার টুয়েলভে দুটি ম্যাচে লড়াই জমিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গণহারে ক্যাচ মিস ও প্রশ্নবিদ্ধ অধিনায়কত্বের কারণে জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি তারা।
এই পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের ভালো পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৭৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় পায় তারা। এরপর তৃতীয় ম্যাচে উইন্ডিজের করা ১৪২ রান পেরিয়ে যেতে শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে স্ট্রাইকে থাকা মাহমুদউল্লাহ বল ব্যাটেই লাগাতে না পারায় ৩ রানের হারের তিক্ত স্বাদ নেয় রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।
Comments