চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে দিল শ্রীলঙ্কা

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সময়ের সেরা খেলোয়াড়রাও তাদের দলে। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত বিদায় নিশ্চিতই হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে আশা জিইয়ে রাখলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নিল তারা।
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান করে তারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি উইন্ডিজ।
তবে শেষ পর্যন্ত বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন শিমরন হেটমায়ার। এক প্রান্তে যখন সতীর্থরা আসা যাওয়ার মাঝে ছিলেন তখন অপর প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। দারুণ ব্যাটিংয়ে রানের গতিও সচল রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় হারতেই হয় দলটিকে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিনুরা ফার্নান্ডোর তোপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। তার জোড়া আঘাতে দলীয় ১০ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বড় চাপে পড়ে দলটি। এরপর রোস্টন চেজকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন নিকোলাস পুরান। ৩৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। চেজকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন চামিকা করুনারাত্নে।
এরপর শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন পুরান। এ জুটি ভাঙেন দুসমান্থা চামিরা। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৩০ রানের ব্যবধানে পুরান, আন্দ্রে রাসেল ও অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারদের বিদায়ে কঠিন হয়ে যায় সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। ৫৪ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন পুরান। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন বিনুরা ফার্নান্ডো ও চামিরা করুনারাত্নেও।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে লঙ্কানরা। দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল পেরেরার ওপেনিং জুটিতে আসে ৪২ রান। পেরেরাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আন্দ্রে রাসেল। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান সংগ্রহ করে দলটি।
এরপর আসালাঙ্কাকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন নিসাঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকার সঙ্গে ৪৬ রানের আরও একটি জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। তাতে বড় পুঁজিই পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন আসালাঙ্কা। ৪১ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটার। নিসাঙ্কা খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। ৪১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২১ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ রান করেন পেরেরা। ১৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক শানাকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩৩ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান রাসেল। ১টি শিকার করেন ডোয়াইন ব্রাভো।
Comments