টস ভাগ্যকেও দুষলেন ভারতের বোলিং কোচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে রাতের ম্যাচগুলোতে পরে ব্যাটিং করা দলগুলো পেয়েছে বাড়তি সুবিধা। শিশিরের কারণে তখন বল করা হয়েছে দুষ্কর। তাই অনেক ম্যাচের ফল নির্ধারণে টস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্ষুদ্র সংস্করণের ক্রিকেটে এমনটা হওয়াকে 'অন্যায্য' মনে করছেন ভারতের বিদায়ী বোলিং কোচ ভরত অরুণ। পাশাপাশি তার মতে, গত ছয় মাস ধরে টানা খেলায় থাকা দলটির ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের আগে কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল।
সুপার টুয়েলভের প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫১ তোলার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা আটকে গিয়েছিল ১১০ রানে। দুটি ম্যাচেই টস জিতেছিল তাদের প্রতিপক্ষ এবং আগে বোলিং বেছে নিয়েছিল। পরে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে যাওয়ায় রান তাড়ায় বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে। তৃতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য নিজেদের দিক না এলেও স্কোরবোর্ডে বিশাল রান জমা করে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় ভারত। আর সবশেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টস জেতার পর তাদেরকে ৮৫ রানে বেঁধে ফেলে ৬.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় বিরাট কোহলির দল। তবে তাদের সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে রয়েছে ঘোর শঙ্কা।
সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে দুবাইতে নামিবিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন রোববার গণমাধ্যমের কাছে টস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অরুণ, 'টস খুবই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং আমি মনে করি, এই ধরনের ম্যাচে (টি-টোয়েন্টিতে) টসের কোনো প্রভাব থাকা উচিত না।'

'এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে) টস অন্যায্য সুবিধা দেয় এবং প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ক্ষুদ্র সংস্করণের ক্রিকেটে এমনটা হওয়া উচিত না।'
আইপিএলের গত আসর শেষ হওয়ার পরপরই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হয় ভারতকে। ক্রিকেটারদের মেলেনি কোনো বিশ্রাম। বছরজুড়েই তারা ছিল খেলার মধ্যে। সঙ্গে রয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তি ও ধকল। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই এসব নিয়ে ছিল আলোচনা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ সংবাদ সম্মেলনে এনেছিলেন জৈব সুরক্ষা বলয় ও টানা খেলার প্রসঙ্গগুলো।
সেই সুরে বোলিং কোচ অরুণ জানান বিরতির প্রয়োজনীয়তা, 'টানা ছয় মাস ধরে খেলার মধ্যে থাকা খুব কঠিন ব্যাপার। খেলোয়াড়রা বাড়িতে যেতে পারেনি এবং আমার মনে হয়, আইপিএলের সবশেষ আসর (করোনাভাইরাসের কারণে মাঝপথে) স্থগিত হওয়ার পরই কেবল তারা একটা ছোট বিরতি পেয়েছিল।'
'তারা ছয় মাস ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আছে এবং সেটা অনেক ক্লান্তিকর। আপনার প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিতে গেলে বলতে হয়, আইপিএল ও বিশ্বকাপের মধ্যে একটা ছোট বিরতি এই ছেলেদের অনেক উপকারে আসরে পারত।'
শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের সেমিতে খেলা নিয়ে রয়েছে তীব্র অনিশ্চয়তা। এদিন আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতে গেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে কোহলিদের।
Comments