বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে উড়িয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

৭০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মরগ্যানের দল।
ছবি: টুইটার

মঈন আলী ও ক্রিস ওকস শুরুতেই ধাক্কা দিলেন শিরোপাধারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। তাদের ধারা বজায় রেখে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চালু রাখলেন টাইমাল মিলস ও ক্রিস জর্ডান। এরপর শেষটা একাই মুড়িয়ে দিলেন আদিল রশিদ। ক্যারিবিয়ানদের মাত্র ৫৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে দাপুটে জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ শুরু করল ইংল্যান্ড। 

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এক নম্বর গ্রুপের রোববারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মরগ্যানের দল। ৫৬ রানের মামুলি লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৮.২ ওভারে।

ইনিংসের একাদশ ওভারে আক্রমণে যাওয়া রশিদ আলাদা করে নজর কাড়েন বল হাতে। এই লেগ স্পিনার মাত্র ২.২ ওভারে চার উইকেট নেন ২ রানের বিনিময়ে। বাঁহাতি পেসার মিলস ও অফ স্পিনার মঈন দুজনেই ১৭ রান দিয়ে পান দুটি করে উইকেট।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহের বিব্রতকর নজির গড়েছে উইন্ডিজ। প্রথম দুটি রয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডসের দখলে। এই সংস্করণে এটি ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের কাছেই মোটে ৪৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।

স্পিনবান্ধব উইকেটে বল পড়ে ধীরগতির হয়ে যাচ্ছিল। ব্যাটে আসছিল না ঠিকমতো। এমন পিচে বড় বড় শট খেলার প্রবণতায় ডুবেছে উইন্ডিজ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভার থেকেই শুরু হয় তাদের দুর্দশার। ওকসের বলে মিড অফ থেকে পেছন দিকে ঘুরে দৌড়ে দারুণ ক্যাচে এভিন লুইসকে ফেরান ম্যাচসেরা মঈন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। কেউ গড়তে পারেননি প্রতিরোধ।

লেন্ডল সিমন্স ও শিমরন হেটমায়ারকে নিজের পরপর দুই ওভারে বিদায় করেন মঈন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাল্টা লড়াইয়ের আভাস দেওয়া ক্রিস গেইলকে থিতু হতে দেননি মিলস। তিন চারে ১৩ বলে ১৩ করে শর্ট বলে পরাস্ত হন ইউনিভার্স বস খ্যাত তারকা। তিনি ছাড়া আর কেউই পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে।

ডোয়াইন ব্রাভো জর্ডানের শিকার হওয়ার পর নিকোলাস পুরানকে ছাঁটেন মিলস। এরপর মঞ্চে আবির্ভূত হন রশিদ। প্রথমে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে আন্দ্রে রাসেলের স্টাম্প উপড়ে দেন তিনি। ১৩তম ওভারে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ও ওবেড ম্যাককয়কে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান। সবশেষে রবি রামপালকে বোল্ড করে ইনিংসের ইতি টানেন রশিদ।

জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ড করে সাবধানী শুরু। তবে তৃতীয় ওভারেই রামপালের স্লোয়ারে পরাস্ত হন জেসন রয়। টানা দুই চারে রানের খাতা খোলা জনি বেয়ারস্টো ফেরেন আকিলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। এই বাঁহাতি স্পিনার পরে আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচে লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিজের ঝুলিতে ঢোকান। মাঝে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মঈন।

তবে লক্ষ্য অনায়াস হওয়ায় ৩৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেললেও ইংলিশরা কখনোই চাপে ছিল না। একপ্রান্ত আগলে থাকা ওপেনার জস বাটলার দলকে জিতিয়েই ক্রিজ ছাড়েন। ২২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গী মরগ্যান করেন ৭ বলে ৭ রান। আকিল দুই উইকেট পান ২৪ রান দিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

10h ago