রহস্য জমিয়ে রাখলেন গেইল

ব্যাট করতে নামার সময় সতীর্থরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, আউট হয়ে ফিরে আসার সময় ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দিলেন, শেষ দিকে বল হাতে নিয়ে শর্ন মার্শকে আউট করে করলেন খুনসুটি, ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে নিলেন 'গার্ড অব অনার'। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে কি তবে ব্রাভোর সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাভোর কথায় থেকে গেল রহস্য।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন সন্দেহ ছাড়াই সর্বকালের সেরা গেইল। এই ফরম্যাটে প্রায় সমস্ত রেকর্ডই তার দখলে। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর পর ২২ বছর ধরেই দিয়েছেন বিনোদন, মাঠের বাইরেও ক্রিকেটের সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্রের একজন গেইল।
শনিবার আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ ছক্কায় ৯ বলে করেন ১৫ রান। ৪২ বছর বয়েসী গেইল পুরো বিশ্বকাপেই ছিলেন নিষ্প্রভ। বয়স, ফর্ম ও বাস্তবতা মিলিয়ে তার শেষের আভাস স্পষ্টই।
তবে এদিই ঘোষণা দিয়ে অবসরে যাওয়া ব্রাভো ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, অবসরের অর্ধেক পথ হেঁটেছেন গেইল, 'সে বলছে অর্ধেকটা সারা হয়েছে। অবসরের অর্ধেক পথে। তার এখনো কিছু ক্রিকেট বাকি। আমি এখনো নিশ্চিত না সে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
১৯৯৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় তার। এরপর খেলেছেন ৩০১ ওয়ানডে, তাতে ৩৭.৮৩ গড়ে ১০ হাজার ৪৮০ রান তার। ২৫ সেঞ্চুরির মধ্যে আছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি। দেড়শো রানের বড় ইনিংস খেলেছেন চারটি।
টেস্টেও ছিলেন সফল। সাদা পোশাকে ১০৩ ম্যাচে ৪২.১৮ গড়ে ৭ হাজার ২১৪ রান। ১৫ সেঞ্চুরির দুটি আবার ট্রিপল সেঞ্চুরি!
তবে সব ছাপিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তিনি হয়ে উঠেন মহারাজা। নিজেকে পরিচয় দেন 'ইউনিভার্স বস' নামে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচ খেলে২৭.৯২ গড় আর ও ১৩৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ১ হাজার ৮৯৯ রান তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান গেইল সেঞ্চুরি আছে দুটি। ফ্রেঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিতেও তার সেঞ্চুরি ২২টি, ছক্কা মেরেছেন ১ হাজার ৫৪টি। আর আশেপাশে নেই কেউ।
Comments