শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা

পুঁজি স্বল্প। তাই নিয়ে লড়াই করতে শুরুতেই বেশ কিছু উইকেট তুলে চেপে ধরতে হতো প্রোটিয়াদের। ততোটা না পারলেও শুরুটা নেহায়েত মন্দ নয় বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। তবে সে ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়ায় ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৫ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। জিততে পরের ১০ ওভারে আরও ৩০ রান করতে হবে তাদের। হাতে রয়েছে ৭টি উইকেট। বাংলাদেশ ১০ বল বাকি থাকতে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায়।
এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। রিজা হ্যান্ডরিকসকে (৪) ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। তবে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ব্যাটিং করছিলেন সাবলীলভাবেই। তিনটি দারুণ চারও মারেন। তাকে সরাসরি বোল্ড করে দেন শেখ মেহেদী হাসান। ১৫ বলে ১৬ রান করেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এইডেন মার্করামকে খালি হাতে ফেরান তাসকিন। অবশ্য স্লিপে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ফলে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৩৩ রান করে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ করেছিল ৩ উইকেটে ২৮ রান।
এরপর অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। অবিচ্ছিন্ন ২২ রানের জুটিতে দলকে গিয়ে নিচ্ছেন এ ব্যাটার। ডুসেন ১০ ও বাভুমা ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ২২ রানের ওপেনিং জুটি মেলে টাইগারদের। কিন্তু এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। আট নম্বর ব্যাটার শেখ মেহেদী হাসান ছাড়া কেউই পারেননি দায়িত্ব নিতে। মেহেদীও যে খুব একটা পেরেছেন তাও নয়। তার ব্যাটে সম্মান রক্ষা রয়েছে টাইগারদের।
মূলত কাগিসো রাবাদার তোপে পড়ে দলটি। টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন এ পেসার। এরপর তোপ দাগান আরেক পেসার আনরিক নরকিয়া। পাশাপাশি দারুণ কৃপণও ছিলেন। স্পিনার তাবরাইজ শামসিও ঘূর্ণির মায়াজাল দেখিয়েছেন। তাতে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি মিলেনি বাংলাদেশের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী। ২৫ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৬ বলে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। দুই ব্যাটার ছাড়া কেবল শামিমই (১১) দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩.২ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পান নরকিয়া। ৪ ওভার বলে করে ২০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান রাবাডাও। ২টি শিকার শামসির।
Comments