শেষ ম্যাচেও ভাগ্য বদলায়নি, চাপে বাংলাদেশ

হারানোর নেই কিছু আর। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত আগেই। শেষটা ভালো করায় লক্ষ্য তাদের। চাপমুক্ত হয়েই খেলতে পারে টাইগাররা। কিন্তু এমন সমীকরণেও ভাগ্য আর পরিবর্তন হলো কোথায়। এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও বড় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৮ রান করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১২ ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি ১৯ রানে ব্যাট করছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারের প্রতিটিতেই উইকেট হারায় তারা। মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারে নিজের প্রথম খেলতে গিয়েই বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
জশ হ্যাজলউডের করা পরের ওভারে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার আউট হন সৌম্য সরকার। বোল্ড হয়ে যান সেই একই ঢঙ্গে। অফস্টাম্পের বাইরে বল খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে যান এ ব্যাটার।
হতাশাটা বাড়ে তৃতীয় ওভারে। পার্টটাইম স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলও সামলাতে পারেননি দেশসেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। অথচ এমন স্পিনারদের বিপক্ষে সেরা পারফর্মার মানা হয় তাকেই। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন তিনি। রিভিউ নেওয়ার কথা মাথাও আনেননি এ ব্যাটার।
এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অপর প্রান্তে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটিং কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনিও। উইকেট সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হ্যাজলউডের বলে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন প্যাট কামিন্সের হাতে।
আসর জুড়ে টানা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা আফিফ হোসেন ধরে রেখেছেন ধারাবাহিকতা। খালি হাতে ফিরেছেন এদিনও। অ্যাডাম জাম্পার গুগলি বুঝতেই পারেননি তিনি। সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন স্লিপে থাকা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের হাতে।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা করছেন এ দুই ব্যাটার। এরমধ্যেই গড়েছেন ২৫ রানের জুটি।
Comments