‘সমালোচনা হবে, সেটা মেনে নিতে হবে’

একের পর এক হার। কখনো কাছে গিয়ে জেতার সুযোগ তৈরি করেও বড় ভুলে পা হড়কানো, কখনো আবার রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর। সেই সমালোচনার জবাবে সিনিয়র ক্রিকেটাররা প্রতিক্রিয়া দেখালেও তাসকিন আহমেদের কণ্ঠ শান্ত। সমালোচনা তার কাছে বোধগম্য।
প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছ হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে উঠাই হয়ে পড়েছিল শঙ্কায়। ওমানকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করার পর সমালোচনার জবাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সব মহলের সমালোচনা তাদের গায়ে লেগেছিল বলেও জানিয়েছিলেন। পাপুয়া নিউগিনিকে হারানোর পর সাকিব আল হাসানকেও দেখা গিয়েছিল সহজ প্রশ্নে ব্যঙ্গাত্মক উত্তর দিতে।
শ্রীলঙ্কার কাছে জেতার কাছে গিয়েও হেরে আসার পর সমালোচনাকারীদেরই উল্টো আয়নায় মুখ দেখতে বলেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের খাতায় যোগ হয়েছে আরেকটি হার। আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে মাহমুদউল্লাহরা স্বাদ পেয়েছেন বিব্রতকরের হারের। বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি তাড়ায় ৩৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জেতে প্রোটিয়ারা। দল হারলেও ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ঝলক দেখান পেসার তাসকিন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের হয়ে কথা বলতে এসে জানালেন সমালোচনার সইবার জন্য প্রস্তুত আছেন তারা, 'হারতে কার ভালো লাগে। আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। এজন্য অনেক কথা, এত সমালোচনা এটা স্বাভাবিক। খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, সেটা নিতে হবে। যত দ্রুত এই জিনিসগুলোতে বের হয়ে সামনের সিরিজ বা সামনের ম্যাচে ফিরতে পারি। দোয়া করবেন অন্তত সামনের ম্যাচটা যেন ভাল খেলতে পারি। অন্তত একটা জয় যেন দেশকে উপহার দিতে পারি।'
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কখনই বাংলাদেশ খুব একটা ভাল দল নয়। তবে তাসকিন মনে করেন তারা যতটা ভালো ততটাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি, 'এটা সত্যি যে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে সেই অনুযায়ীও খেলতে পারেনি। অনেকের থেকে টি-টোয়েন্টিতে আমরা পেছানো, সেই অনুযায়ীও আমরা খেলতে পারিনি। নিশ্চিতভাবেই এতটা খারাপ হতো না, এর থেকে বেটার আশা করা যায় আরকি।'
Comments