স্পেনকে হারিয়ে অলিম্পিকে টানা দ্বিতীয় স্বর্ণ ব্রাজিলের

টোকিও অলিম্পিকে এবারও বেশ শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিল ব্রাজিল। উদ্দেশ্য স্বর্ণ ধরে রাখা। আর সে কাজটি সফলভাবেই করেছে তারা। আরেক শক্তিশালী দল স্পেনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি।
ফাইল ছবি

টোকিও অলিম্পিকে এবারও বেশ শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিল ব্রাজিল। উদ্দেশ্য স্বর্ণ ধরে রাখা। আর সে কাজটি সফলভাবেই করেছে তারা। আরেক শক্তিশালী দল স্পেনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি।

শনিবার ইয়োকোহামার নিশান স্টেডিয়ামে স্পেনকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে দলটি। ব্রাজিলের হয়ে গোল দুটি করেছেন ম্যাথিয়াস কুনহা ও ম্যালকম। মাইকেল ওয়ারজাবাল স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন।

ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখলটা স্পেনের বেশি থাকলেও খেলা হতে থাকে সমান তালেই। গোল করার প্রথম সুযোগটা পায় স্পেন। ১৫তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে ওয়ারজাবালের হেড ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন দিয়াগো কার্লোস। তবে একেবারে গোললাইন থেকে শেষ মুহূর্তে রক্ষা করেন এ ডিফেন্ডারই।

চার মিনিট পর ভালো সুযোগ ছিল ব্রাজিলেরও। ডি-বক্সের সামনে রিচার্লিসনের বাড়ানো বল থেকে ডগলাস লুইজের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। তবে এগিয়ে দারুণ সুযোগটা ৩৮তম মিনিটে নষ্ট করেন রিচার্লিসন। ফ্রিকিক থেকে উড়ে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে কুনহাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। কিন্তু রিচার শট বারপোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময় ঠিকই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ডি-বক্সে সৃষ্ট জটলায় ঠিকভাবে বল ঠেকাতে না পারায় ফাঁকায় বল পেয়ে যান কুনহা। জোরালো শটে সিমন পরাস্ত করেন এ ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের ১৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্পেন। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ওয়ারজাবালের উদ্দেশ্যে দারুণ এক কাটব্যাক করেন কার্লোস সোলের। হতাশ করেননি রিয়াল বেতিস তারকা। জোরালো ভলিতে বল জালে জড়ান।

৮৮তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সোলেরের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার জোরালো এক শট নিয়েছিলেন ব্রায়ান হিল। কিন্তু বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রা বেঁচে যায় ব্রাজিল।

এরপর আর গোল না হলে ম্যাচে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে প্রায় একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ব্রাজিল। বেশ কিছু ভালো সুযোগও সৃষ্টি করে। কিন্তু গোলের দেখা মিলেনি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিট যেতেই গোল পায় দলটি। নিজেদের অর্ধ থেকে ম্যালকমের উদ্দেশ্যে নিখুঁত এক থ্রু পাস বাড়ান আন্তনি। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সেলোনার সাবেক এ তারকা। আর এ গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

No insurance assets will be usable for owners’ personal loans

Insurers shall not assist company directors, shareholders, their families or other related individuals in obtaining loans from financial institutions by using company assets as collateral, according to a draft amendment to Insurance Act 2010.

20m ago