পেরুর গোলরক্ষকের পানির বোতল ছুঁড়ে মেরেই নায়ক অজি গোলরক্ষক?

থ্রি ইডিয়টের কথা মনে আছে? মনে আছে পরীক্ষার আগের রাতে চতুর রামালিঙ্গমের নেওয়া সেই পন্থার কথা? ভালো ফলাফল করতে হলে নিজের পরীক্ষায় ভালো করতে হবে কিংবা ব্যবস্থা করতে হবে সহপাঠীদের পরীক্ষা খারাপ করার। রামালিঙ্গম কাজটা না পারলেও পেরেছেন অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক অ্যান্ড্রু রেডমেইন। কারণ একই সঙ্গে তিনি করেছেন যে দুটোই।
তৃতীয় শটটি যখন নিতে আসে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেইগ গুডউইন, তখন ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে কি যেন খুঁজছিলেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসি। খুঁজে পাননি কিছুই। সেই খুঁজে না পাওয়ার জেরে যে তার তার দলও খুঁজে পেল না বিশ্বকাপে যাওয়ার পথ। বাছাই পর্বের প্লে-অফে অস্ট্রেলিয়ার কাছে টাই-ব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় তারা। এরপর দুটি স্পটকিক ফিরিয়ে নায়ক সেই রেডমেইন।
তখন থেকেই এ গোলরক্ষকের বন্দনায় মেতেছে ফুটবল বিশ্ব। কারণ ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বদলি নেমে দলকে পাইয়ে দেন বিশ্বকাপের টিকিট। অথচ হিরো হতে পারতেন পেদ্রো। সে পথেই ছিলেন তিনি। মার্টিন বয়েলের করা প্রথম শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়টি পারেননি। এরপর বাকি তিন শটের যদি একটাও ঠেকাতে পারতেন তাহলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিত তার দলই। তার জন্য প্রস্তুতিটাও নিয়েছিলেন ভালোই। কিন্তু সব এলোমেলো করেন ওই অজি গোলরক্ষক।
বর্তমান সময়ে টাই-ব্রেকারের কথা মাথায় রেখে প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকেন সব গোলরক্ষকই। কোন ধরণের ম্যাচে কোন খেলোয়াড় কোন দিকে শট নেন, কিংবা গড় হিসেব কোন দিকে বেশি তার আগেই মাথায় রাখেন তারা। অনেকে মনে রাখতে কাগজ রাখেন, কেউবা পানির বোতলে লিখে রাখেন। ঠিক সেটাই করেছিলেন পেদ্রো। পানির বোতলে লেখা ছিল তার নির্দেশনা।
কিন্তু পেরুর দ্বিতীয় শট ঠেকাতে গিয়ে মিস করলে বারপোস্টের কাছে কিছু একটা দেখতে পান রেডমেইন। একটি বোতলে কিছু লেখা। সেটা কৌশলে সঙ্গে নিয়ে দর্শকের দিকে ছুঁড়ে মারেন তিনি। নির্দেশনার সে বোতল হারিয়ে এরপর আর পেনাল্টি ঠেকাতে পারেননি পেদ্রো। অন্যদিকে উজ্জীবিত রেডমেইন একটি শট ঠেকিয়ে ম্যাচ নেন সাডেন ডেথে। সেখানে প্রথম শট ঠেকিয়ে দলকে পৌঁছে দেন বিশ্বকাপে।
Comments