একাদশে ঠাঁই পেয়েই প্রত্যাবর্তনের রেকর্ড গড়লেন বিজয়

Anamul Haque Bijoy
এনামুল হক বিজয়। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০১৪ সালে সেপ্টেম্বরে সেন্ট লুসিয়াতেই সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। সেই টেস্টে বাজে পারফর্মের পর আর সাদা পোশাকে সুযোগ মেলেনি। এরপরে সময় গড়িয়েছে অনেক। জাতীয় দলের সেটআপ থেকে ক্রমেই দূরে সরেছেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর পর প্রত্যাবর্তনের রেকর্ড গড়ে আরও একবার টেস্টে সুযোগ মিলল তার।

বিজয়ের সবর্শেষ খেলা টেস্ট থেকে এই টেস্টের বিরতি ঠিক ৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন। দুই টেস্টের মধ্যে বিরতিতে বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের রেকর্ড এটি।

এর আগে এই রেকর্ডে ছিলেন পেসার নাজমুল হোসেন। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর টেস্ট অভিষেকের পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন  ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, অর্থাৎ ঠিক ৭ বছর পর!

প্রত্যাবর্তনের রেকর্ড গড়া বিজয় শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে ছিলেন না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রান বন্যা বইয়ে ফিরেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে। প্রথম টেস্টের আগে ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি চোটে পড়লে দেশ থেকে ডাক পড়ে বিজয়ের।

উড়ে গিয়ে দলে যোগ দিলেও খেলানোর ভাবনায় ছিলেন না তিনি। সেই ভাবনায় আসেন অ্যান্টিগা টেস্টেও দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বিশেষ করে তিন নম্বরে খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে খেলা মুমিনুল হকের ছন্দহীনতা আলোচনায় নিয়ে আসে তাকে।

শেষ পর্যন্ত সদ্য সাবেক অধিনায়ক মুমিনুলের বদলেই সুযোগ ঘটল তার। বিজয়ের টেস্ট ক্যারিয়ার খুব একটা আলো ঝলমলে নয়। ৪ টেস্টে ৯.১২ গড়ে করেন কেবল ৭৩ রান।

তবে টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক রান করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের পর থেকে ৫০ এর বেশি গড়ে করেছেন পাঁচ হাজারের বেশি রান। প্রথম শ্রেণিতে তার আছে ২২ সেঞ্চুরি।

তবে প্রথম শ্রেণি সাম্প্রতিক সময়টা আবার ভাল ছিল  না বিজয়ের। লাল বলের ক্রিকেটে সর্বশেষ মৌসুমে জাতীয় লিগ ও বিসিএল মিলে ১০ ম‍্যাচের ১৫ ইনিংসে ২৮.২৮ গড়ে তার রান কেবল ৩৯৬। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে টেস্ট দলের সুযোগটা বিজয় কতটা কাজে লাগাতে পারেন দেখার বিষয়।

Comments