খালেদের পরিবারের খোঁজ নিচ্ছে বিসিবি

khaled ahmed
ছবি- সংগ্রহ

আকস্মিক বানের জলে ভাসছে সিলেট। সিলেট শহর ও আশেপাশের এলাকায় হওয়া বন্যার প্রভাবে অনেক মানুষই আছেন সংকটে। সিলেটে বন্যা আক্রান্ত এলাকাতেই বাড়ি পেসার খালেদ আহমদের। যিনি জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ খেলতে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দেশে এই পেসারের পরিবার কেমন আছে তা জানবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তৃতীয় দিন শেষে জেতার অনেক কাছে চলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে দারুণ বল করে বাংলাদেশকে অসম্ভবের আশা জাগান খালেদ। ৯ রানে ক্যারিবিয়ানদের ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। পরে যদিও পরিস্থিতি সামাল দেয় স্বাগতিকরা।

খালেদ যখন এমন বল করছিলেন, তখন সিলেট নগরীর আলমপুর এলাকা বিদ্যুৎহীন, বেশ কিছু এলাকা জলে থইথই। সেই আলমপুরেই বাড়ি খালেদের।

রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, দেশের বাইরে থাকা সিলেটের খেলোয়াড়দের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, 'সিলেটের আমাদের জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা বর্তমানে দলের সঙ্গে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। আমাদের সংশ্লিষ্ট বোর্ড পরিচালকের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমাদের যে অন্যান্য যে বিষয়গুলো, (বন্যার) প্রভাবের পর যেসব বিষয় আসবে সেসব বিষয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি কীভাবে তাদের পাশে থাকা যায়।'

টেস্ট দলের সঙ্গে দেশের বাইরে আছেন সিলেটের আরেক পেসার ইবাদত হোসেনও। তবে ইবাদতের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা সেভাবে বন্যা আক্রান্ত নয়।

ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সিলেটে বন্যা আক্রান্ত সাধারণ মানুষের পাশেও থাকতে চায় বিসিবি। সিলেট থেকে নির্বাচিত বোর্ড পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে সে ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছে বোর্ড,  'অবশ্যই সব সময় আমাদের চেষ্টা থাকে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পাশে থাকার জন্য। এবং এটার ব্যতিক্রম হবে না বলে আমি মনে করি। আমাদের বোর্ড সভাপতি মহোদয় ইতোমধ্যে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে কিভাবে কি কাজ করলে হয়তো বা তাদের পাশে থাকা যাবে, সেভাবে আমাদের দেখতে বলেছেন এবং আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি।'

'ইতোমধ্যে আমাদের যে সংশ্লিষ্ট বোর্ড পরিচালক আছেন, তার সাথে আমাদের কথা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উনি যোগাযোগ করছেন কীভাবে আমরা কন্ট্রিবিউট করতে পারি বা কিভাবে আমরা পাশে থাকতে পারি সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। খুব শিগগির আমরা আশা করছি হয়তো কিছু একটা আপনারা দেখতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Shahjalal International Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

9h ago