গায়ানা যেন মিরপুর, বাংলাদেশের স্পিনে কাবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ

Nasum Ahmed

এই সিরিজে স্বাগতিক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু উইকেট দেখে কে বলবে তা? বাংলাদেশের যা শক্তির জায়গা- মন্থর ও টার্নিং উইকেট। গায়ানায় মিলল তার দেখা। হুবহু মিরপুরে মতই মন্থর ও টার্নিং উইকেটে খাবি খেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের স্পিনে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনরকমে পার হতে পারল তিন অঙ্ক।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তামিম ইকবালের দল। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, নাসুম আহমেদ ১৯ রান খরচাতেই পেয়েছেন ৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেছেন আটে নামা কেমো পল।

টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে সতর্ক শুরু এনেছিলেন স্বাগতিক দুই ওপেনার। ১০ ওভার টিকে থেকে ওভারপ্রতি তিনের নিচে রান তুলছিলেন তারা। অবশ্য ১০ ওভারের আগেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার সুযোগ এসেছিল।  মিরাজের বলে হোপকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ক্যাচ ও স্টাম্পিং হাতছাড়া করেন তিনি।

৪ রানে জীবন পেয়েও তা আর কাজে লাগাতে পারেননি হোপ। আরেক ওপেনার মেয়ার্স বিপদজনক হওয়ার আগেই তাকে ছেঁটেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগের ম্যাচের মতই অফ স্টাম্প খুইয়েছেন তিনি। দুই ওভার পরই ব্রোকসকে বোল্ড করে উইকেট নেওয়া শুরু নাসুমের। ১৮তম ওভারে তিনি থামিয়ে দেন থিতু হতে থাকা হোপকে। ওই ওভারে নেমেই প্রথম বলে নাসুমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক পুরান।

রভম্যান পাওয়ালের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেননি ব্র্যান্ডন কিং। পাওয়াল ঝড় তুলতে পারেননি শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে দেওয়ায়। কিং পরে বোল্ড হয়ে যান মিরাজের বলে। আকিল হোসেন শিকার হন রানআউটের। আগের ম্যাচে শেষ দিকে কিছু রান এনে দেওয়া রোমারিও শেফার্ডকে এবার বাড়তে দেননি মিরাজ। আলজেরি জোসেফকেও ছাঁটেন তিনি।

এক পাশে উইকেট পতনের মাঝে একা চালিয়ে রান বাড়ান কেমো পল। দলকে তিন অঙ্ক পার করান তিনিই। তবে তার একার পক্ষে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। গুডাকেশ মুটিকে এলবিডব্লিউ করে ইনিংসও মুড়ে দেন মিরাজ।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago