তার আমলে টেস্টে উন্নতির গ্রাফ তুলে ধরলেন বিসিবি প্রধান

Nazmul Hasan Papon
নাজমুল হাসান পাপন। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে হারের মধ্য দিয়ে টেস্টে শততম হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এবং সেটা এসেছে কেবল ১৩৪ ম্যাচ খেলে। ম্যাচের হিসেবে বাংলাদেশই সবচেয়ে দ্রুততম দল হিসেবে হেরেছে একশো টেস্ট। বিব্রতকর এই রেকর্ড সঙ্গী করলেও বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন মনে করছেন তারা আছেন উন্নতির ধারায়।

২০০০ সালে টেস্টে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ২২ বছরের পথ চলায় এখনো পর্যন্ত মাত্র ১৬টি ম্যাচ জিততে পেরেছে, হেরেছে ১০০ ম্যাচ আর ড্র ১৮টিতে।

এই ২২ বছরের মধ্যে সর্বশেষ ১২ বছর ধরেই বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান। বুধবার বোর্ড সভা শেষে বেরিয়ে লিখে আনা কাগজ বের করে পরিসংখ্যান দিয়ে জানালেন, তার আমলে টেস্টে বাংলাদেশ আছে উন্নতির পথে, '২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৩৩টা টেস্ট সিরিজ খেলেছি, ম্যাচ ছিল  ৬১টি , এরমধ্যে আমরা ১৩টি টেস্ট জিতেছি। ১১টা ড্র, ৩৭টা ম্যাচ হেরেছি। আমাদের যদি জেতার হার দেখতে চাই তাহলে এটা ২১%।'

'এখন আপনারা বলবেন, একটা সিরিজ হয়ে গেলে সব হতাশ হয়ে যাব। কারো দোষ খুঁজে বের করব। এটা ঠিক না। কারণ আমি উন্নতি দেখছি। আপনাদের যেমন মন খারাপ, আমার মন আরও বেশি খারাপ এই খেলা দেখে।'

তার দায়িত্ব নেওয়ার আগের সময়টার পরিসংখ্যান দেখিয়ে তিনি জানান তারা উন্নতি করেছেন অনেকটা,  'এর আগে আমরা শুরু থেকে (২০০০ থেকে ২০১২) ৩৭টা সিরিজ খেলেছিলাম ৭৩টা ম্যাচ, ৩টা জিতেছিলাম। এবং জেতার হার ছিল ৪ শতাংশ।  ৪ শতাংশ থেকে যদি ২১ শতাংশ হয় তাহলে এটা অবশ্যই উন্নতি। এবং কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কঠিন কন্ডিশনে খেলছি আমরা। এইগুলা আপনাদের মাথায় আনতে হবে।'

টেস্টে সামগ্রিক উন্নতির ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের ঘাটতি, ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বলতা আলোচনায় আসে অনেকবার। বোর্ড সভাপতি জানালেন সব ব্যাপারে রাতারাতি উন্নতি সম্ভব না, এজন্য দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধরার আহবান তার, 'আমরা তো বলি না টেস্টে আমরা ভাল। উন্নতি করছি, উন্নতি করার জন্য সময় লাগবে। একটু ধৈর্য লাগবে। এই ধৈর্যটা সকলের জন্য। এটা রাতারাতি সম্ভব না। মিডিয়া না শুধু। দেশের মানুষেরও।'

তৃতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকিবের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। এরপর এই শীর্ষ তারকা বাংলাদেশ টেস্ট সংস্কৃতি না থাকার কথা জোর দিয়ে জানান। সাকিবের কথার সঙ্গে দ্বিমত নেই বোর্ড সভাপতিরও, 'সাকিব যা বলল সাকিবের ভাষ্য, আমি বলতে চাচ্ছি ওভারঅল টেস্ট কালচারটা আমাদের মাঝে নাই। খেলার সুযোগটা পেল কোথায় আগে। এখন খেলা শুরু করেছে, আমরা বাইরে গিয়েও জেতা শুরু করেছি তাই বলে কি সব জিতব নাকি? এটা টোটালই আলাদা।'

টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থান উত্তরণের লক্ষ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করার কথাও জানান নাজমুল। এই গ্রুপই খুঁজে বের করবে উত্তরণের পথ, 'সমাধান খুঁজতে একটা ওয়ার্কিং কমিটি  করা হয়েছে। একটা ওয়ার্কিং গ্রুপ আমাদের হচ্ছে পেশাদার  নিয়ে, নাম দিবে খুব শিগগিরই।'

Comments

The Daily Star  | English

The consensus to keep women out

The project of egalitarianism cannot be subcontracted to the very custodians of inequality.

8h ago