দিনের শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে হারের মুখে বাংলাদেশ

তৃতীয় দিনে কাজটা ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জের। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকতে হতো লম্বা সময়। বড়সড়ো লিড নিয়ে তবেই জাগাতে হতো আশা। সেই পথে যাওয়া তো অনেক দূর। বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কাছেই যেতে পারল না। কাইল মেয়ার্স-কেমার রোচদের তোপে প্রথম সেশনেই পড়ল ৪ উইকেট। তৃতীয় দিনেই তাই উঁকি দিচ্ছে  বড় হার।

অ্যান্টিগায় শনিবার তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ তুলেছে ৬ উইকেটে  ১১৫ রান।  এদিন সকালের সেশনে ২৯ ওভার ব্যাট করে ৬৫ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। এখনো ইনিংস হার এড়াতে  করতে হবে ৪৭ রান।

৫ রানে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ২ রান করে তার সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।

আগের দিনের ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে নেমে দিনের শুরুতে বেশ ভালোই খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সাবলীল গতিতে এগুবেন তিনি। রান খরা কাটিয়ে অন্তত দলকে দেবেন ভরসা।

কিন্তু থিতু হওয়ার পর পুরনো রোগ সারাতে পারলেন না। কাইল মেয়ার্সের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ধরা দিয়ে থামেন ১৭ রানে।

সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক আবার সেই একই ফাঁদে শিকার। তাকে ক্রিজে আসতে দেখে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে এসে বল ভেতরে ঢোকাতে থাকেন মেয়ার্স। আরও একবার ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন মুমিনুল। আরও একবার দুই অঙ্কের আগে থামেন তিনি।

ছন্দে থাকা লিটন দাস নেমেই খেলতে থাকেন আগ্রাসী মেজাজে। পুল, ড্রাইভে মারেন তিন চার। অতি আগ্রাসী হওয়াই কাল হয়ে যায় তার। কেমার রোচের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ধরা দেন স্লিপে। ১৫ বলে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।

মাহমুদুল হাসান হয় ছিলেন ধীরস্থির। এক প্রান্ত আগলে রেখে এগুচ্ছিলেন তিনি। দেড়শোর বেশি বল খেলে ফেলেছিলেন তিনি। লাঞ্চের ঠিক আগে তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটান রোচ। সেই একই ঘটনা। রোচের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে দেন ক্যাচ। ১৫৩ বলে থামেন ৪২ করে।

লাঞ্চের পর বাংলাদেশের কাজটা হবে আরও কঠিন। বাকি চার উইকেট নিয়ে সফরকারীরা কতদূর যেতে পারেন দেখার বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

‘People's will, not mine’

Yunus tells Malaysia's Bernama why he stepped into Bangladesh's political hot seat

2h ago