ফিরেই তাইজুলের ৫ উইকেট, দুশোর আগে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শুরুতে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন নিকোলাস পুরান আর কেসি কার্টি। এই জুটির পর আবার ধস। পুরান একা টানলেও বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। তাদের ধসিয়ে অতি সহায়ক কন্ডিশন পেয়ে দুই বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট পেয়ে গেছেন তাইজুল ইসলাম।
গায়ানায় শনিবার শেষ ওয়ানডেতে আবারও আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৭৮ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্পিনে একইরকম ভোগান্তি হলেও প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় তাদের এই রানই বেশ ভদ্রস্থ বলা যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছেন অধিনায়ক পুরান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। ১০ ওভার বল করে স্রেফ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা তাইজুল।
প্রথম দুই ম্যাচের মত এদিনও উইকেট মন্থর-টার্নিং। বাংলাদেশ আরও একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে শুরুতেই চেপে ধরল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আভাস মিলছিল আগের দুই ম্যাচের পরিস্থিতিরই। তবে এবার কেসি কার্টি আর নিকোলাস পুরান প্রতিরোধে কিছুটা ভদ্রস্থ অবস্থায় যাচ্ছে স্বাগতিকদের স্কোর।
গায়ানায় শনিবার শেষ ওয়ানডেতেও টস জিতে নেয় বাংলাদেশ। অনুমিতভাবে বোলিং বেছে ১৬ রানেই তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানদের ৩ উইকেট। একাদশে আসা তাইজুল পান প্রথম দুই উইকেট। ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড করে দেয়ার পর শেই হোপকে স্টাম্পিং করেন তিনি। শারমাহ ব্রোকস ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে।
এরপর কার্টির সঙ্গে ৬৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন পুরান। ২৭তম ওভারে নাসুম আহমেদের বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে থামেন কার্টি। ৬৬ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ৩৩ করেন এই ডানহাতি।
পুরান দায়িত্ব নিয়ে ফিফটি তুলে হাত খুলে মারতে থাকেন। আরেক প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারছিলেন না কেউ। রভম্যান পাওয়েল এসে এক ছক্কায় থিতু হয়েও বোকা বনেন তাইজুলের স্পিনে। কেমো পলও তাইজুলের শিকার হলে ক্রমশ একা হতে থাকেন পুরান। ব্যাটিং জানা আকিল হোসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে আউট হলে পুরানের লড়াই হয়ে যায় কঠিন। টেকেননি তিনিও। তাইজুল তাকে বোল্ড করে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম 'ফাইফার'।
এরপর দলের রান দেড়শো ছাড়িয়ে যায় রোমারিও শেফার্ডের ব্যাটে। শেষ উইকেটে তার সঙ্গে ২৫ রানের জুটিতে সঙ্গে দেন আলজেরি জোসেফ। তবে পুরো ৫০ ওভার খেলা হয়নি তাদের। ৪৯তম ওভারে ২২ বলে ১৯ করা শেফার্ডকে বোল্ড করে ইনিংস মুড়ে দেন নাসুম আহমেদ।
Comments