মিডল অর্ডার আর পাঁচ বোলারের সমন্বয় নিয়ে চিন্তা

ছুটি নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম নেই, তার বিকল্প হিসেবে যিনি বিবেচিত হয়েছিলেন সেই ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও নেই চোটের কারণে। ছুটি নেওয়ায় নেই সাকিব আল হাসানও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নামার আগে মিডল অর্ডার নিয়ে বেশ অস্বস্তি থাকবে বাংলাদেশ দলের। চ্যালেঞ্জ হবে ৫০ ওভার বল করার মতো পাঁচ বোলার বেছে নেওয়াও।
mahmudullah, Afif Hossain & Mosaddek Hossain Saiket
মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের মধ্যে কে নিতে পারেন পঞ্চম বোলারের ভূমিকা?

ছুটি নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম নেই, তার বিকল্প হিসেবে যিনি বিবেচিত হয়েছিলেন সেই ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও নেই চোটের কারণে। ছুটি নেওয়ায় নেই সাকিব আল হাসানও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নামার আগে মিডল অর্ডার নিয়ে বেশ অস্বস্তি থাকবে বাংলাদেশ দলের। চ্যালেঞ্জ হবে ৫০ ওভার বল করার মতো পাঁচ বোলার বেছে নেওয়াও।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এখন সবচেয়ে থিতু। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস দুজনেই আছেন ছন্দে। গত কয়েকটি ওয়ানডেতে তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ভালো শুরু।

তামিম-লিটনের ওপেনিং জুটি থাকছে এবারও। ওপেনিং নিয়ে তাই সংকটের কোন জায়গা নেই। দলে থাকলে ওয়ানডেতে তিনে খেলেন সাকিব। তিনি এবার না থাকায় তিন নম্বর জায়গা নিয়ে এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর মধ্যে লড়াই থাকবে।

তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ওয়ানডে সংস্করণেই রান বন্যা বইয়ে সব সংস্করণে দলে এসেছেন বিজয়। শান্তর চেয়ে এই জায়গায় এগিয়ে তিনি। মুশফিক না থাকায় চারে কাকে খেলানো হবে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।

এমনও হতে পারে শান্ত-বিজয় দুজনেই সুযোগ পেলেন। শান্তকে তিনে খেলিয়ে চারে সুযোগ দেওয়া হতে পারে বিজয়কে। তবে যেই খেলুন এই জায়গায় ভরসার সংকট একটা থাকছেই।

ওয়ানডেতে নিয়মিত সাতে খেলার ভূমিকা দেওয়া হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। যদিও অনেকের মতে মিডল অর্ডারই তার আদর্শ জায়গা। মাহমুদউল্লাহকে ছয়ে রেখে আফিফ পাঁচে খেললে সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সাতে খেলবেন নুরুল হাসান সোহান। বাকি চারটি জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজ ও বাকি তিন বোলারের জন্য।

সাকিব না থাকায় পাঁচ বোলারের সমন্বয় রাখা কঠিন। কিন্তু ওয়ানডেতে ৫০ ওভার বল করার জন্য পাঁচ বোলার খেলালাতেই হবে। মাহমুদউল্লাহ ১০ ওভার বল করার অবস্থায় আছেন কিনা এটা একটা বিষয়। সেক্ষেত্রে তার বদলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হতে পারেন ভালো পছন্দ। কারণ সীমিত সংস্করণে ১০ ওভার বল করতে পারেন তিনি। পাশাপাশি আফিফকে অনিয়মিত বোলার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

তবে মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ আর আফিফ কেউই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নন। দিন খারাপ হলে তাদের বল থেকে খসতে পারে অনেক রান। পঞ্চম বোলার হিসেবে তাইজুল ইসলামকে খেলালে আবার ব্যাটিং দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা আছে। একাদশ বাছাই করতে তাই কৌশলগত কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ আছে তামিম ও রাসেল ডমিঙ্গোর সামনে।

বাংলাদেশ কেমন সমন্বয় নিয়ে নামে তা দেখতে বেশি অপেক্ষা নেই। আজ (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। 

Comments