রান আটকে দ্রুত উইকেট নেওয়ার পরিকল্পনায় বাংলাদেশ

ছবি: এএফপি

ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে ভিত পেয়েও প্রথম ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার রান তোলেন বেশ দ্রুতগতিতে। ফলে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম দিনটা নিশ্চিতভাবেই গেল স্বাগতিকদের ঝুলিতে। তবে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর ছক ইতোমধ্যে এঁটে ফেলেছে টাইগাররা। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল জানালেন, কম রান দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত উইকেট আদায়ের লক্ষ্য তাদের।

ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এক পর্যায়ে স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ১০৫ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আচমকা ধসে দিকহারা হয়ে পড়ে তারা। ৩৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান আরও চার ব্যাটার। এরপর ছন্দে থাকা লিটন দাসের ফিফটি এবং ইবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামের ছোট ছোট দুটি ইনিংসের কল্যাণে ২৩৪ রান পর্যন্ত পৌঁছায় সফরকারীরা।

শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ ওভারেই ৬৭ রান তুলে ফেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৫৫ বলে ৩০ ও জন ক্যাম্পবেল ৪১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন। হাতে ১০ উইকেটের সবগুলো নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পিছিয়ে আছে ১৬৭ রানে।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, উইকেটে অসমান বাউন্স থাকলেও প্রথম ইনিংসে তিনশ রান করা উচিত ছিল বাংলাদেশের। বোলিং নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ পায় তার কণ্ঠে, 'উইকেটে বল ওঠা-নামা করেছে। তবে আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল। তিনশর কাছাকাছি বা ৩২০ করতে পারলে আরও ভালো হতো। আর বোলিংয়েও যদি আমরা ২৫-৩০ রান কম দিতাম, তাহলে ভালো হতো। কারণ, ওরা যে ধরনের ব্যাটিং করে সাধারণত, এত দ্রুত রান করে না, ক্যাম্পবেল ছাড়া। আমরা ২০-২৫ রান বেশি দিয়েছি।'

বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়নি ভালো। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইতোমধ্যে পাঁচ বোলার কাজে লাগিয়েছেন। তাদের বিপরীতে ওভারপ্রতি চারের বেশি গড়ে রান তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা। তামিমের মতে, উইকেটে সুইং না থাকায় সাফল্য পেতে ধৈর্য ধারণ করতে হবে বোলারদের, 'কালকের সকালের (শনিবার) সেশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে এই কারণে যে খুব বেশি সুইং এখানে নেই। (অ্যান্টিগায়) গত টেস্টে যেরকম ছিল, এখানে নেই। উইকেট তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ধৈর্যের খেলা খেলতে হবে। রান যত কম দিয়ে, রান আটকে যত দ্রুত উইকেট নেওয়া যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

Promises on paper, pollution in reality

Environment Adviser Syeda Rizwana Hasan’s admission of failure to stop rampant stone extraction in Sylhet’s Jaflong may be honest, but it highlights her glaring limitations as an administrator.

10h ago