‘উপায় না দেখে’ শেষ টি-টোয়েন্টির দলে মাহমুদউল্লাহ

Mahmudullah
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই তাই স্বাভাবিকভাবে টি-টোয়েন্টির জার্সি নিয়েও জিম্বাবুয়ে যাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মঙ্গলবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে হয়তো অন্য কারো জার্সি পরে নামতে হবে তাকে। পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত উপায় না দেখে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারালেও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের চোটে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আঙুলে চিড় ধরায় তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান তিনি।

সোহানের বদলে মঙ্গলবার সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচের অধিনায়ক করা হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা চমক থাকলেও সেই চমক ছাড়িয়ে যায় আরেকটি সিদ্ধান্তে। সোহানের বদলে যে ফেরানো হয়েছে সদ্য সাবেক হওয়া এবং সিরিজটিতে বিবেচিত না হওয়া মাহমুদউল্লাহকে।

গত ২২ জুলাই নতুন অধিনায়ক ও জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দল ঠিক করে বিসিবি। তখন দল পরিচালক খালেদ মাহমুদ ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, নতুন আদলের দল গড়ার পথে হাঁটতে যাচ্ছেন তারা। সেকারণে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহ ও মুশকিককে।

এবার সেই চিন্তা থেকে দুই ম্যাচ পরই সরে আসা কেন হলো। জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে খালেদ মাহমুদ বলেন, মিডল অর্ডারের ব্যাকআপ কেউ না থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা,  'আসলে আমরা পাঁচজন ওপেনার নিয়ে জিম্বাবুয়েতে এসেছি। এই স্কোয়াডে ওপেনারের ব্যাকআপ থাকলেও মিডল অর্ডারের ব্যাকআপ দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেই। কাজেই উপায় না দেখে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা মাহমুদউল্লাহকে অনুরোধ করে খেলাচ্ছি।'

জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ওপেন করতে পারেন এমন ব্যাটার আছেন মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ছয়ে খেলেছেন সোহান। এই জায়গায় ঘোষিত স্কোয়াডের মধ্যে ব্যাকআপ হতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ পর্যন্ত বেছে নিল মাহমুদউল্লাহকেই।

দলে ফেরানো হলেও মাহমুদউল্লাহ এখন খেলবেন কেবল একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে। খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, নেতৃত্বের বিবেচনায় আর নেই তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

9h ago