‘তাইজুলকে স্যালুট দেওয়া উচিত’

এমনিতেই খেলেন কেবল টেস্ট। তাও ঘরের বাইরে খেলা হলে সচরাচর একাদশে সুযোগ মেলে না তাইজুল ইসলামের।
Taijul Islam
উইকেট নিয়ে তাইজুলের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এমনিতেই খেলেন কেবল টেস্ট। তাও ঘরের বাইরে খেলা হলে সচরাচর একাদশে সুযোগ মেলে না তাইজুল ইসলামের। লম্বা বিরতির পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ টেস্ট তাইজুল যেমন পারফর্ম করেছেন তাতে তাকে স্যালুট দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

দক্ষিণ আফ্রিকায় হতাশার টেস্ট সিরিজে তাইজুল নিজের  কাজটা করেছেন ঠিকঠাক। ডারবানে প্রথম টেস্টে তাকে একাদশের বাইরে রাখা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।

দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে এসে সেই সমালোচনার ভিত পারফরম্যান্স  দিয়ে আরও শক্ত করেন তাইজুল। দল বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রানে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৭ রানে নেন ৩ উইকেট। দলের বাকিদের বিবর্ণ অবস্থাতে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে তার।

গত ডিসেম্বরে সর্বশেষ ম্যাচ খেলা এই বাঁহাতি নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্টেই বেঞ্চে বসে নিজের ধার কমতে দেননি। এরকম বিরতি দিয়ে খেলা ও পারফর্ম করাটা মুমিনুলের কাছে মনে হচ্ছে কঠিন। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তাই তিনি তাইজুলকে প্রশংসায় ভাসালেন,  'আমার মনে হয় তাইজুলের জন্য সত্যিই কঠিন। ও যদি এই ম্যাচে ভাল বল না করত ওর জন্য কঠিন হয়ে যেত, আপনারাও সমালোচনা করতেন। পাকিস্তান সিরিজে শেষ খেলেছিল। তারপর নিউজিল্যাডে তো বসেই ছিল পুরোটা। চার মাস পরে টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা এবং তারপর পারফর্ম করা এটা অনেক কঠিন ভাই। আমার মনে হয় ওকে স্যালুট দেওয়া উচিত।'

তাইজুলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়ে এই সিরিজে আলো কাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ডারবানে প্রথম ইনিংসে করেন ১৩৬ রান। তবে আরেক তরুণ ওপেনার সাদমান ছিলেন হতাশার ছবি। এই দুজনের পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যাও দিলেন মুমিনুল,  'জয়ের কথা তো আগেই বলেছি। ও বাংলাদেশের পরবর্তী বড় তারকা। সে প্রমাণও করেছে। ওর জন্য হয়ত চ্যালেঞ্জ বাড়বে, কারণ ভাল খেললে প্রতিপক্ষ অনেক ঘাটাঘাটি করে। সাদমানের হয়ত একটু ব্যাড প্যাচ যাচ্ছে। আরেকটা ব্যাপার হলো সাদমানের সমস্যা তাইজুলের চেয়ে কঠিন। আপনারা যদি দেখেন আমরা কিন্তু অন্তত বিপিএল খেলি, প্রিমিয়ার লিগ খেলি। ও দেখবেন যে না খেলে বিপিএল, না খেলে প্রিমিয়ার লিগ। তো কোন টুর্নামেন্টই খেলে না ও। চার তিন মাস ধরে সে অনুশীলনই করেছে। এইজন্য ওকে সাপোর্ট দেওয়া উচিত।'

Comments

The Daily Star  | English

EVMs, the EC, and waste of public money

Why did the EVM experiment fall on its face?

10h ago