দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন মাঠে সাফল্যের উপায় জানালেন ডোনাল্ড 

Allan Donald
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ফাইল ছবি- এএফপি

আজ থেকে ১৩৩ বছর আগে সেই ১৮৮৯ সালে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সেটিই ছিল প্রথম কোন টেস্ট ম্যাচ। প্রথমবার এই মাঠে কোন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এই মাঠে খেলার অনেক স্মৃতি থেকে তাই পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড মেলে ধরলেন তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।

ডারবানে প্রথম টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবারই দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু পোর্ট এলিজাবেথে পৌঁছায় মুমিনুল হকের দল। বুধবার প্রথম দিনের অনুশীলনের ফাঁকে সেন্ট জর্জেস পার্কের রকম-সকম নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ডোনান্ড, 'দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন টেস্ট গ্রাউন্ড। এটা দারুণ ঐতিহ্যবাহী একটা টেস্ট ভেন্যু। আমি এখানে খেলতে ভালবাসতাম। এখানকার বাজনা আর মানুষের হইরইয়ের মধ্যে খেলা খুব সরব ব্যাপার ছিল। অনেক দলের সঙ্গে এখানে আমার ভালো স্মৃতি আছে। এটা এমন এক উইকেট যেখানে কখনই আপনি খেলার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না আবার ম্যাচ থেকে বেরিয়েও যাবেন না। সারাক্ষণই এখানে কিছু না কিছু হবে।'

দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সব সময়ের সেরা পেসারদের একজন ডোনাল্ডের এই মাঠে রেকর্ড দারুণ। এখানে খেলা  ৭ টেস্টে ১৮.২০ গড়ে তার উইকেট ৪০টি। ৫ উইকেটই নিয়েছেন তিনবার।

ডোনাল্ড এত উইকেট পেলেও মাঠটিতে সাম্প্রতিক সময়ে পেসাররা যে খুব সাফল্য পাচ্ছেন না নয়। বরং এই মাঠে স্পিনারদের অনেক বেশি সফল হতে দেখা যায়। 'সাদা বিদ্যুৎ' জানালেন পেসারদেরও করার আছে অনেক কিছু, সেজন্য তাদের হতে হবে সৃষ্টিশীল, করতে হবে ভিন্ন কিছু,   'এটা এমন একটা মাঠ যেখানে আপনাকে সৃষ্টিশীল হতে হবে। ম্যাচ যত আগাবে উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে যেতে পারে। পেস বোলারদের দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার কিছু না কিছু থাকতে হবে। সাহসী হয়ে হাত উঁচু করতে হবে। ভিন্ন কিছু করতে হবে।'

 'কয়েক বছর আগে ডেল স্টেইন এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেখিয়েছিল ফ্লাট পিচেও কীভাবে সাফল্য আনা যায়,যখন বল রিভার্স করে আপনি উইকেট পাবেন। বোলারদের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে। এটা এমন এক মাঠ যেখানে অনেক বড় বড় সেঞ্চুরি হতে পারে।'

স্পিনাররদের সহায়তা থাকলেও প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা হতাশ করেননি। তিন পেসারই প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপে চাপ বাড়ান, সাফল্যও দেখা দেয় সেই পথে। ডোনাল্ডের আশা একই তরিকায় এই ভেন্যুতেও ঝাঁজ নিয়ে নামবেন তারা,  'বাংলাদেশের পেসাররা প্রথম টেস্টে দারুণ করেছে। আমরা বোলিং জুটির কথা নিয়ে আলাপ করেছি। খালেদ যেভাবে বল করেছে, ইবাদত যেভাবে বল করেছে। সব পেসারদের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভালো ছিল। ইউনিট হিসেবে বল করেছে। রান রেট ৩.৭ থেকে ২.৫ এ নেমে এসেছিল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা উইকেট নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৩ রানের মধ্যে আটকে দেওয়ায় আমি গর্বিত ছিলাম। পুরো দিনে চাপটা জারি রাখতে হবে। সাফল্যের রেসিপি যদি জানতে চান, সেন্ট জর্জেস পার্কে ভিন্ন কোন তরিকা থাকবে না।'

Comments