পরিস্থিতি নাগালের বাইরে, বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ
দক্ষিণ আফ্রিকা সাড়ে চারশোর বেশি পুঁজি গড়ার পর ৫ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে এখনো ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ, উইকেটের পরিস্থিতি বিচার করে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলছেন পরিস্থিতি তাদের নাগালের বাইরে, তৃতীয় দিনে অপেক্ষা করছে কঠিন সময়।
হাতে শেষ ৫ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের থেকে ৩১৪ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল। ফলোঅন এড়াতেই এখনো চাই ১১৫ রান।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে তাই সিডন্স জানালেন, স্বাগতিকরা কন্ডিশন বিচারে বড় সংগ্রহই করে ফেলেছে তা আপাতত তাদের নাগালের বাইরে, 'আমার মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভালো ব্যাট করেছে। যে পুঁজি গড়েছে তা আমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে সেশন সেশনে আমাদের ব্যাটিংয়ের পর। আমাদের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা কিছু বড় ভুল করেছেন। ওরাও ভাল বল করেছে। মহারাজ হয়ত উইকেট পায়নি, কিন্তু উঁচু মানের বল করে চাপ তৈরি করেছে।'
চরম চাপে পড়া বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৮২ থেকে ১২২ রানে হারায় ৫ উইকেট। দিনশেষ করে ১৩৯ রান নিয়ে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ৩০ ও ইয়াসির আলি ব্যাট করছেন ৮ রান নিয়ে।
সিডন্সের মতে এই দুজন দলের বড় ভরসা। তবে তাদের ক্রিজে থাকতে হলে এগুতে হবে সঠিক পরিকল্পনায়, 'মহারাজের জন্য আমাদের আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। অফ স্পিনার হার্মার অনেক জোরে টার্ন করিয়েছে। কাল (রোববার) আমাদের কঠিন দিন হতে যাচ্ছে। ৫ উইকেট এরমধ্যেই নেই। আশা করি জুটি গড়তে পারব। কয়েকজন ভাল খেলেও ডিফেন্সের ভুলে আউট হয়েছে।'
দুই স্পিনার সাইমন হার্মার আর কেশব মহারাজকে না ঠেকিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথ খোঁজার বার্তা দিয়েছেন সিডন্স, 'স্পিনারদের বিপক্ষে ডিফেন্সের ভাল কৌশল হলো শট খেলা। ব্যাট-প্যাড (ক্লোজিং ফিল্ডার) ক্যাচারদের সরিয়ে দেয়া। সারাদিন ঠেকিয়ে কোন লাভ হবে, একটা বল ব্যাট-প্যাডে লাগবেই।'
'বল টার্ন করছে অনেক। মুশফিক ও (ইয়াসির) রাব্বি অনেক বল মিস করেছে। এভাবে সারাদিন পার করা মুশকিল। কিছু ক্রস শট খেলার দরকার হবে। আমি রাশ শট খেলার কথা বলছি না।'
Comments