রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপে হতাশার সেশন

দলের এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়দের ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই নিয়েই প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত এক জয়। সিরিজ হার এড়াতে হলে এ টেস্টে জিততেই হবে টাইগারদের। তার জন্য টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা দলটির প্রয়োজন শুরুতেই প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানা। সুযোগটা এনে দিয়েছিলেন বোলার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কিন্তু অধিনায়ক নিতে পারলেন কোথায়?

দলের এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়দের ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই নিয়েই প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত এক জয়। সিরিজ হার এড়াতে হলে এ টেস্টে জিততেই হবে টাইগারদের। তার জন্য টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা দলটির প্রয়োজন শুরুতেই প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানা। সুযোগটা এনে দিয়েছিলেন বোলার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কিন্তু অধিনায়ক নিতে পারলেন কোথায়?

সারেল এরউইয়াকে ফেরানো যেত তৃতীয় ওভারেই। ব্যক্তিগত ৪ রানেই পড়তে পারতেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে করা জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেওয়ার জন্য অধিনায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বোলার খালেদ। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই সময় শেষ! রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে বল-ট্রাকিংয়ের তিনটিই লাল। আবারও সেই আক্ষেপ দিয়ে দিন শুরু। 

অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল সিরিজে তেমন বিচক্ষণতার কোনো পরিচয় নিতে পারেননি কখনোই। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তো অনেক দূর। প্রায় একই আক্ষেপে প্রথম টেস্টে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। তিন বার রিভিউ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তার ব্যবহার খুব একটা হয়নি। অথচ বল করার পর ব্যাটারকে আউট করার ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন বোলার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাতে ইশারা দিয়ে মুমিনুল দৃষ্টি কেড়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক ছিলেন দোমনায়। নিবেন কি নিবেন না ভাবতে ভাবতে যখন আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, ততোক্ষণে সময় শেষ। এছাড়া তেমন কোনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েও কিছু করার চিন্তা করেননি মুমিনুল। গৎবাঁধা ছকেই চলেছেন।

তবে অধিনায়ককে স্বস্তি দিয়ে এরউইয়াকে ফিরিয়েছেন সেই খালেদই। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন এরউইয়া। তবে  ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন এরউইয়া। তবে এর আগে অধিনায়ক ডিন এলগারের সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি। তাতে দারুণ সূচনাই পেয়েছে স্বাগতিকরা।

এরপর কিগান পিটারসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন এলগার। এরমধ্যেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক। ৫৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা তিনটি ইনিংসেই অর্ধশত করেন তিনি। একই সঙ্গে পোর্ট এলিজাবেথের মাঠে দেশের হয়ে সবচেয়ে রান করার রেকর্ডটাও করেন অধিনায়ক।

তার সঙ্গী পিটারসেনও দারুণ সেট হয়ে গেছেন। অপরাজিত আছেন ২৪ রানে। দুইজনই টাইগারদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটি। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি আদায় করে রানের গতি সচল রাখছেন তারা। এরমধ্যেই মেরেছেন ১৫টি বাউন্ডারি। ফলে লাঞ্চ বিরতির আগে ১ উইকেটে ১০৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Comments

The Daily Star  | English

Over 60pc voter turnout in first phase

No major incident of violence reported; Modi expected to win rare third term

1h ago