প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে খেলায় ফিরল বাংলাদেশ

সেঞ্চুরির দুয়ারে থাকা ডেভন কনওয়ে তিন অঙ্কের পরই কাটা পড়লেন রান আউটে, অধিনায়ক টম ল্যাথাম ডাবল সেঞ্চুরি করে এখনো ব্যাট করতে থাকলেও ইবাদত হোসেন-শরিফুল ইসলামের তোপে তিনি হারিয়েছেন আরও তিন সঙ্গী। আগের দিনের এলোমেলো ভাব কাটিয়ে অনেকটা গুছানো বল করার ফল পেল বাংলাদেশ।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন বলা যায় বাংলাদেশের। এই সেশনে ২২.৪ ওভার খেলে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৭৪ রান, হারিয়েছে ৪ উইকেট। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪২৩ রান। মুমিনুল হকদের সবচেয়ে বড় পথের কাঁটা হয়ে ২১৫ রান করে টিকে আছেন ল্যাথাম।
১ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে নেমে প্রথম ৫ ওভারে বিপর্যয় ছাড়াই রান তুলে কিউইরা। ৯৯ রানে অপরাজিত কনওয়ে শুরুতেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিনি খেলছিলেন সাবলীল গতিতে। ইতি টানেন ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে।
শরিফুলের বল অফ সাইডে পুশ করে জায়গা বদল করতে গিয়েছিলেন ল্যাথাম। সাড়া দিয়ে কনওয়ে আর ঢুকতে পারেননি নিরাপদে। দারুণ এক থ্রোতে স্টাম্প ভেঙ্গে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ চার, ১ ছক্কায় ১৬৬ বলে থামে কনওয়ের ১০৯ রানের ইনিংস।
এরপর তুমুল করতালির মাধ্যমে মাঠে প্রবেশ করেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে নামা রস টেইলর। বাংলাদেশ দলও দাঁড়িয়ে থাকে গার্ড অব অনার দেয়। ক্রিজে গিয়ে স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন টেইলর। দিচ্ছিলেন বড় কিছুরই আভাস। থিতু হতেও খুব একটা সময় লাগেনি তার। প্রথম দিনের দৃঢ়তা টেনে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পেতে সময় লাগেনি ল্যাথামেরও।
এই দুজনের জুটি জমে উঠছিল। চিন্তাও বাড়ছিল বাংলাদেশের। তখনই আঘাত ইবাদতের। প্রথম টেস্টের নায়ক আগের দিন ছিলেন বেশ খরুচে। এদিন অনেক আঁটসাঁট বল করে গেছেন। চাপ তৈরি করায় আসে সাফল্য। ইবাদতের বলে ফ্লিকের মতো করতে গিয়ে শর্ট স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ৩৯ বলে ২৮ করা টেইলর। ৪৮ রানের জুটি ভাঙ্গার পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। খানিক পর দারুণ এক ডেলিভারিতে হেনরি নিকোলসকে উইকেটের পেছনে কাবু করে ইবাদত নেন তার দ্বিতীয় উইকেট।
প্রথম সেশনের একদম শেষ দিকে গিয়ে বাংলাদেশ পায় আরেক সাফল্য। শরিফুলের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ধরা দেন ৩ রান করা ড্যারেল মিচেল।
Comments